মেয়েদের যে খুব কম দিচ্ছি, তা নয়: বিসিবি সভাপতি
ডিটেকটিভ স্পোর্টস ডেস্ক
মেয়েদের হাত ধরে এসেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশের প্রথম শিরোপা। আড়ালে থাকা বাংলাদেশের মেয়েদের দল হঠাৎ আলোয় এসেছে। স্তুতির বান যেমন ছুটেছে, তেমনি চলছে মেয়েদের পারিশ্রমিক ও বেতন কাঠামো নিয়ে তুমুল সমালোচনাও। তবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের দাবি, মেয়েদেরকে খুব কম দিচ্ছে না বোর্ড।
এশিয়া কাপ জয়ী মেয়েদের জন্য অবশ্য অর্থ পুরষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে বিসিবি। দলের সব ক্রিকেটারকে দেওয়া হবে ১০ লাখ টাকা করে। পাশাপাশি ভালো পারফরমার ও টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য আরও বাড়তি অর্থ পুরষ্কার। সব মিলিয়ে দেওয়া হবে মোট ২ কোটি টাকা। সোমবার বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভার পর এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
এককালীন অর্থ পুরষ্কারের এই ঘোষণা অনেকটা অনুমিতই ছিল। কিন্তু বেতন-ভাতা বাড়ানোর যে আলোচনা, সেটির কোনো সিদ্ধান্ত এদিন আসেনি। জাতীয় লিগে ম্যাচ ফি মাত্র ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা নিয়ে গত বছর সমালোচনার ঝড় বইয়ে গিয়েছিল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ম্যাচ ফি, বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতন ভদ্রস্থ পর্যায়ে নয়।
তবে মেয়েদের বেতন কম বলে যে সমালোচনা, সেটির সঙ্গে ঠিক একমত নন নাজমুল হাসান।
“ওদের অনেক কিছু এর আগে আমরা বদল করেছি। গত বছর কেন্দ্রীয় চুক্তির অধীনে ১৭ জনকে এনেছি। ওরা আগে অনেক কম পেত। তাদের ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ৩০ হাজারে নিয়ে এসেছি। ২০, ১৫ ও ১০ হাজারে ভাগ করেছি। একটা ব্যাপার মনে রাখতে হবে, ওদের অনেকে কিন্তু নতুন খেলা শুরু করেছে। ছেলেদের সঙ্গে ওদের তুলনা করাটা কঠিন হবে।”
“মেয়েদের যে খুব যে কম দিচ্ছি, তা তো নয়। এখন তামিম, সাকিব, মুশফিক, রিয়াদ, এদের সঙ্গে তুলনা করলে তো হবে না। ওদের সঙ্গে তুলনা করা চলেও না।”
মেয়েদের জন্য আশার জায়গা অবশ্য কিছুটা আছে। বিসিবি সভাপতি আশ্বাস দিয়েছেন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর।
“এবার মেয়েরা যে সাফল্য পেয়েছে, তাতে করে আমি মনে করি, আমরা যে মেয়েদের পাচ্ছিলাম না, এখন আমরা অনেক মেয়েদের পাব যারা ক্রিকেটে আগ্রহী হবে। আগ্রহ বাড়ানোর জন্য আমাদের ওয়ার্কিং কমিটির প্রধান এনায়েত হোসেন সিরাজ ভাইকে দায়িত্ব দিয়েছি। ওঁরা দুই দিনের মধ্যে আমাদের রিপোর্ট দেবে, মেয়েদের কি কি সুবিধা বাড়ানো যায়।”
সভা শেষে এদিন ছিল বিসিবির ইফতার আয়োজন। যেখানে আমন্ত্রিত হয়ে এসেছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার। তিনি আশ্বাস দিলেন মেয়েদের জন্য ক্রিকেট একাডেমি গড়ার।