প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলোর পদত্যাগের দাবিতে রাজধানী লিমায় সড়কে নামেন পেরুর সাধারণ জনগণ। এ সময় পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিরাপত্তা বাহিনী জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাধে সংঘর্ষ। মুহূর্তেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা।
একজন বিক্ষোভকারী বলেন, প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলোর পদত্যাগ করা উচিত। কারণ, পেরুতে তার কোনোরকম জনসমর্থন নেই। দেশকে চরম অস্থিতিশীলতায় নিয়ে গেছে তার দল।
আরেকজন বিক্ষোভকারী বলেন, ‘পেদ্রোর গদি ছাড়ার সময় এসেছে। আমাদের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হচ্ছে। অর্থনীতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। কেউ তাকে সরকার হিসেবে চাই না।’
এদিকে দেশটির আরেকিপা ও কুসকো শহরের মিছিল করেন হাজারো খনি শ্রমিক। আদিবাসী এবং পেরুর বৃহত্তম চীনা মালিকানাধীন কোম্পানির মধ্যে বিরোধের সমাধান না করায় প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলো এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে লাইমে জড়ো হন শত শত খনি শ্রমিক। খনি শ্রমিকদের দাবি, সরকার খনিটিতে হস্তক্ষেপ করে প্রবেশদ্বার অবরোধকারী সব আদিবাসীকে জোরপূর্বক অপসারণ করুক। এ ছাড়াও তারা তাদের চাকরি হারানোর বিষয়ে উদ্বিগ্ন।
গেল বছর জুলাইয়ে পেরুতে পেদ্রো কাস্তিলোর ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই পেরুতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে বলে দাবি দেশটির নাগরিকদের। এরপর থেকেই সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন তারা।এদিকে, চীনের তিয়ানানমেন স্কয়ার গণহত্যার ৩৩তম বার্ষিকীতে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে হংকংয়ের ভিক্টোরিয়া পার্কে জনসাধারণের সমাগম নিষিদ্ধ করেছে হংকং কর্তৃপক্ষ। তবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পার্কে হংকংয়ের নাগরিকরা প্রবেশ করতে চাইলে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এতে পার্কের আশপাশে টহল জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আটক করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে।