September 21, 2024, 7:54 pm

সংবাদ শিরোনাম
কু‌ড়িগ্রা‌মের উলিপু‌রে বিদ‌্যুৎস্পৃষ্টএক যুব‌কের মৃত্যু যশোরে বালিচাপা অবস্থায় প্রতিবন্ধী যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে ৪০ পিস ইয়াবা ও ১ টি ভ্যান জব্দসহ ২ জন মাদক কারবারি গ্রেফতার জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফর রহমান মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বন্ধে কুড়িগ্রামে জলবায়ু ধর্মঘট খুলনা দৌলতপুর রেলস্টেশন ও মহসিন মোড় কাঁচাবাজারে এলাকাবাসীর উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান সংসার রেখে ডলিতে আসক্ত কয়েছ৷ বিয়ে ছাড়াই এক সাথে বসবাস ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে তিন লাখ জাল টাকা এবং জাল টাকা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদিসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ যশোরের সাবেক এসপি আশরাফুল সহ ১০ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

ক্ষমতায় গেলে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে নিহত ডা. মিলন হত্যার ‘বিচার করবেন’ এরশাদ নিজেই

ক্ষমতায় গেলে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে নিহত ডা. মিলন হত্যার ‘বিচার করবেন’ এরশাদ নিজেই

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

বিগত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ঢাকার রাজপথে শহিদ ডা: শামসুল আলম মিলন হত্যার বিচার ফের ক্ষমতায় আসতে পারলে নিজেই করবেন বলে মন্তব্য করেছেন সেই সময়ের সামরিকশাসক এইচ এম এরশাদ। আশির দশকের গোড়ায় সেনাপ্রধান হিসেবে ক্ষমতা দখলের পর তা দীর্ঘস্থায়ী করতে যে রাজনৈতিক দল গড়ে তুলেছিলেন সেই জাতীয় পার্টির ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এরশাদ এই মন্তব্য করেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ডা. মিলনকে কে হত্যা করেছে এখনো আমরা জানি না। একটু আগে মহাসচিব (রহুল আমিন পাটোয়ারী) ডিমান্ড করেছেন, আমরা যদি ক্ষমতায় আসতে পারি, প্রথমে ডাক্তার মিলনের হত্যার বিচার আমরা চাব। ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর স্বৈরাচারবিরোধী গণ-আন্দোলনে আততায়ীর গুলিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে নিহত হন ডা. মিলন। সেই সময় তিনি মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। এ ঘটনার কিছুদিন পরেই ৬ ডিসেম্বর এরশাদ পদত্যাগে বাধ্য হন। পরে তিনি প্রায় ছয় বছর কারাগারে ছিলেন। যদিও বর্তমানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে তাঁর দল জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। সেই নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। তাঁর স্ত্রী বেগম রওশন এরশাদ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা। মিলন হত্যার আগে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ বুকে-পিঠে লিখে মিছিলে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন নূর হোসেন। তাঁর স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভটি রাজধানীর গুলিস্তিান এলাকায় অবস্থিত। এটি জনসাধারণের কাছে ‘শহিদ নূর হোসেন চত্বর’ নামে পরিচিত। এইচ এম এরশাদ গতকাল সোমবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনের সভায় শহিদ নূর হোসেনের বিষয়েও কথা বলেন। যদিও তিনি তাঁর বক্তব্যের সময় নূর হোসেনের গায়ে লেখা পুরু স্লোগানটি উচ্চারণ করেন। এরশাদ শুধু বুকে লেখা ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ এটুকু বলেছেন। আর পিঠে লেখা ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’ এটুকু উচ্চারণ করেননি। এরশাদ বলেন, নূর হোসেনকে কে মারল আমরা জানি না। তাঁর গায়ে লেখা ছিল- গণতন্ত্র মুক্তি পাক। পেছন থেকে গুলি করা হলো। সবেচেয়ে দুঃখের বিষয় নূর হোসেনের জন্য মনুমেন্ট তৈরি করা হল। মনুমেন্ট কোনটা জানেন? জিরো পয়েন্ট। ওটা আমি তৈরি করেছিলাম। মুরাদ নাই আরেকটা তৈরি করার। মুরাদ নাই। যদি নূর হোসেনের স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করতে হয়, আমিই করবো, তারা পারবে না।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর