বাগেরহাটে ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ নিয়ে তোলপাড়, পাল্টা-পাল্টি সংবাদ সম্মেলন
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
বাগেরহাটে সমবায় প্রতিষ্ঠান দি ঢাকা আরবান কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটিডের গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাৎ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। চলছে পাল্টা-পাল্টি সংবাদ সম্মেলন। ব্যাংকের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ব্যাংকের বাগেরহাট শাখা বর্তমান ব্যবস্থাপক মোঃ স্বাধীন শেখ। সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের মৃত নিরোধ বিহারী হালদারের ছেলে নীহার রঞ্জন হালদার ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় প্রায় পাঁচ শতাধিক গ্রাহকের দুই কোটি ৫৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে ভারতে পালিয়ে যায়। এরপর কর্তৃপক্ষ আমাকে শাখা ব্যবস্থাপকের দায়িত্বভার দেন। আমি সাত মাস ধরে ৩শ গ্রাহকের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করি লগ্নিকৃত টাকা উত্তোলন করে বাকি গ্রাহকদের পরিশোধ করতে পারবো। তিনি আরও বলেন, গ্রাহকরা ব্যাংকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। মাঠপর্যায়ের সকল গ্রাহকদের সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ধরে রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করছি। সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকের ফিল্ড কর্মকর্তা অরবিন্দু শেখর দাস, সুবর্না রায় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে শুক্রবার দুপুরে দি ঢাকা আরবান কো অপারেটিভ লিমিটেডের ৩০/৩৫ জন গ্রাহক (অর্থ লগ্নিকারী) বাগেরহাট প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। তারা বলেন, দি ঢাকা আরবান কো অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান বাগেরহাটের পাঁচ শতাধিক গ্রাহকের অন্তত ১০ কোটি টাকা আতœসাত করে। এরমধ্যে এফডিআর গ্রাহকের সংখ্যাই ১১৫ জন। এরা একেকজন ৫০ হাজার টাকা থেকে ১৫ লাখ পর্যন্ত টাকা জমা রাখেন। ২০১২ সালে বাগেরহাট শহরের সাধনার মোড়ে সফি মার্কেটের তিনতলা ভাড়া নিয়ে দি ঢাকা আরবান কো অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেডের নামে একটি প্রতিষ্ঠান সাইবোর্ড ঝুলিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৬৯ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি সমবায় থেকে নিবন্ধন পায়। (নিবন্ধন নং ৭১০) বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতিষ্ঠানটির ৪২টি শাখা রয়েছে। বাগেরহাট সমবায় অধিদপ্তরের উপসহকারী নিবন্ধক আমানুল্লাহ বলেন, দি ঢাকা আরবান কো অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেডের নামের প্রতিষ্ঠানটি সমবায় আইন অমান্য করে তাদের কার্যক্রম চালচ্ছে। বিষয়টি আমরা উধ্বর্তন কর্র্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে অবহিত করেছি।