মনেপ্রাণে সুস্থ থাকা যায় সময় বুঝে খাবার খেলে
ডিটেকটিভ লাইফস্টাইল ডেস্ক
পরিচিত কিছু খাবার সেগুলো খাওয়ার ঠিক সময়টা জানা থাকলে পুষ্টিগুণের পুরোটাই পাওয়া যায়।
সবকিছুর জন্য যেমন নির্দিষ্ট সময় থাকে, খাবারের ক্ষেত্রেও তাই। নিয়ম মেনে খাওয়া হলে সেই খাদ্য শরীরে ঠিক ভাবে কাজ করে এবং শরীর সুস্থ থাকে।
পুষ্টিবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে, সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া হলে তা থেকে সর্বোচ্চ পুষ্টি পাওয়া যায়।
দই খাওয়ার উপযুক্ত সময় বিকাল: আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, রাতে দই খাওয়া হলে তা শরীরে ‘কাফা দশা’ বাড়ায়। অর্থাৎ শরীরের পেশি, শক্তি ও স্থীতি বাড়ায়। সকালের দিকে দই এড়ানো উচিত। বৃষ্টির দিনে বা শীতকালে দিনের বেলায় দই খাওয়া কার্যকর।
ছাতু খাওয়ার উপযুক্ত সময় সকাল: খাওয়ার পরে বা রাতে কখনই ছাতু খাওয়া ঠিক নয়। সকালের দিকে ছাতু খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ এতে শরীর হজম করার যথেষ্ট সময় পায়। মাংস ও দুধের সঙ্গেও ছাতু খাওয়া ঠিক নয়।
মাংস খাওয়ার উপযুক্ত সময় দুপুরে: মাংস হজম করা কঠিন, তাই দিনের বেলা মাংস খাওয়া হলে ঘুমাতে যাওয়ার আগে তা হজমের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়।
পাস্তা খাওয়ার উপযুক্ত সময় দিনের বেলা: রাতে কখনই পাস্থা খাওয়া ঠিক না। পাস্তা রক্তচাপ কমাতে সক্ষম এমন শস্য দিয়ে তৈরি। দিনের বেলায় পাস্তা খাওয়া হলে, তা হৃদপি- ভালো রাখতেও সাহায্য করে। তবে হজমের সুবিধার জন্য পাস্তা পরিমিত খাওয়া উচিত।
বাদাম খাওয়ার উপযুক্ত সময় বিকাল: দুপুরের খাবার শেষে বিকাল বেলায় বাদাম খাওয়া উপযুক্ত সময়। বাদাম নানান পুষ্টি গুণে ভরপুর। তাই, রাতে খাওয়া হলে তা হজমে সমস্যা করতে পারে।
দুধ পানের উপযুক্ত সময় রাত: আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, রাতে দুধ খাওয়া হলে তা শরীরে ভালো কাজ করে এবং ভালো ঘুম হয়।
ফল খাওয়ার উপযুক্ত সময় সকাল: বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে খালি পেটে অথবা নাস্তায় ফল খাওয়া সবচেয়ে ভালো। এতে খুব সহজেই ক্ষুধা নিবারণ হয়।
ডার্ক চকোলেট খাওয়ার উপযুক্ত সময় সকাল: কারণ এতে সারাদিন পেট ভরা অনুভূতি হয়। ফলে সারাদিনে অন্যান্য মিষ্টি খাবারের চাহিদা কমে।
ঘোল পানের উপযুক্ত সময় দিনের বেলা: ঘোল দিনের বেলাতেই খাওয়া উচিত। রাতে খাওয়া হলে যাদের অ্যাজমা বা সাইনাসের সমস্যা আছে তাদের বুকে অস্বস্তি এবং কফ সৃষ্টি হতে পারে।