হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের প্রভাব আয়ের ওপর
ডিটেকটিভ লাইফস্টাইল ডেস্ক
যারা হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক বা হৃদরোগের শিকার হয়েছেন তারা চিকিৎসা শেষে কর্মক্ষেত্রে ফিরে গেলেও তাদের মাসিক বা বাৎসারিক আয় কমে যায় উল্লেখযোগ্য মাত্রায়।
কানাডাতে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানিটোবা’র গবেষকরা এমনটাই মন্তব্য করেছেন।
বিশ্বব্যাপি শীর্ষে থাকা মৃত্যুর কারণগুলোর মধ্যে হৃদরোগ অন্যতম। ৬৫ বছরের কম বয়সি কর্মজীবী মানুষদের মধ্যে তিনভাগের একভাগ হার্ট অ্যাটাক, ২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে স্ট্রোক আর ৪০ শতাংশ ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’য়ের শিকার হন।
এই রোগগুলোর চিকিৎসা যেমন হয় দীর্ঘমেয়াদি, অস্ত্রোপচারের পর বিছানায়ও থাকতে হয় বহুদিন। আর বেশিরভাগ রোগীই বিভিন্ন বিধিনিষেধে আবদ্ধ হয়ে আগের কর্মচঞ্চল জীবনে ফিরে যেতে পারেন না।
গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে তীব্র ‘মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশন’, ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ এবং স্ট্রোক সবগুলোই উল্লেখযোগ্য হারে চাকরিচ্যুতির কারণ। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রোগীর পরবর্তী প্রায় তিন বছরের আয়। শতাংশের হিসেবে তা রোগী ও রোগের তীব্রতা ভেদে প্রায় আট থেকে ৩০ শতাংশ।
আবার যারা কর্মক্ষেত্রে ফিরে যেতে পারেন তাদের চিকিৎসার তৃতীয় বছরের পূ্র্েবর হিসেবের তুলনায় কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ।
আয় কমে যাওয়ার প্রভাব গিয়ে পড়েছে রোগীর নিজের, তার পরিবার, তার কর্মক্ষেত্র, এমনকি সরকারের উপরেও।
কানাডিয়ান মেডিকাল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়।
ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানিটোবা’র অধ্যাপক অ্যালান গারল্যান্ড বলেন, “রোগাক্রান্ত হওয়ার কারণে বেকারত্ব ও আয় কমার সম্পর্ক রয়েছে আর্থসামাজিক পরিস্থিতির সঙ্গে। রোগীর শারীরিক ও আর্থসামাজিক অবস্থার প্রভাব পড়ে তার নিজের, তার পরিবার এবং সরকারের উপর। দেউলিয়া, পুনরায় স্বাস্থ্যহানি এবং কর্মক্ষমতা হ্রাস এই প্রভাবগুলোর মধ্যে অন্যতম।”
এই গবেষণার জন্য শ্রমবাজারের উপর এই শারীরিক সমস্যাগুলো প্রভাব এবং ৪০ থেকে ৬১ বছর বয়সের ১৯,১২৯ জন রোগীর পরিণতি পর্যবেক্ষণ করেন গবেষক দল।
অংশগ্রহণকারীদের কেউ আগে হৃদরোগের শিকার হননি এবং সবাই হৃদরোগের শিকার হওয়ার আগে কর্মরত ছিলেন।
হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া রোগীদের পুনরায় কর্মক্ষেত্রে ফিরে আসার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং নীতিমালা তৈরিতে সাহায্য করবে এই গবেষণা, এমনটাই প্রত্যাশা গবেষকদের।