ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে আলোচনা করতে দেশটিতে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। সেখানে সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং ও কার্যত নেতা অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। স্থানীয় সময় বুধবার মিয়ানমারে পৌঁছান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে এসেছে। এ অভিযানে নির্বিচারে খুন করা হয় রোহিঙ্গা নারী, শিশু ও পুরুষদের। সেনা ও দোসরদের ধর্ষণের শিকার হয় বিভিন্ন বয়সী নারী। লোমহর্ষক এ নির্যাতনের শিকার হয়ে এখনো বাংলাদেশে ছুটে আসছে রোহিঙ্গারা। উল্লিখিত পরিস্থিতিতে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের কক্সবাজার সফর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা। তিনি রোহিঙ্গা নারীদের গণধর্ষণ, তাদের হত্যা ও নির্যাতনের দায় চাপিয়েছেন সেনাসদস্যদের ওপর। কিন্তু চলতি সপ্তাহে মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে সহিংসতায় সেনাবাহিনী দায়ী নয় বলে উল্লেখ করা হয়। এই বক্তব্যকে ‘হোয়াইটওয়াশ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, মিয়ানমারের রাজধানী নাইপিদোতে পা রেখেই সোজা মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে দেখা করতে যান টিলারসন। এরপর তিনি বৈঠক করবেন সু চির সঙ্গে। বৈঠকের বিষয়ে যৌথ এক সংবাদ সম্মেলনে এ দুজনের বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার ফিলিপাইনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের সম্মেলনে সু চির সঙ্গে দেখা হয়েছিল টিলারসনের। সেই সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সরকারি তৎপরতা ও বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার পরিকল্পনার বিষয়টি খোলাসা করতে চেয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী মিয়ানমারের কার্যত নেতা। ওই দিন টিলারসনের সঙ্গে সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের জানান, রোহিঙ্গাদের ফেরত আনতে রাখাইনে শান্তি ফেরাতে হবে। আর সে বিষয়টিই মিয়ানমারের সেনাপ্রধানকে বলবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।