ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
হারির পদত্যাগ দেশ ছাড়ার আগে তিনি তার কর্মকর্তাদের বলে যান যে সোমবার থেকে স্থগিত আলোচনা শুরু করবেন তিনি। মিশরীয় প্রেসিডেন্ট আবদের ফাত্তাহ আল সিসির সঙ্গে সাক্ষাত করার কথা ছিলো তার। এরপর হারিরি তার রিয়াদের বাড়িতে যান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরিকে ক্ষমতাচ্যুত করার সৌদি প্রচেষ্টায় সমর্থন দিতে বলা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফাঁস হওয়া তারবার্তায় ওই সমর্থনের ইঙ্গিত মিলেছে। চ্যানেল টেন নামের এক ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম- ফাঁসকৃত সেই তারবার্তাকে উদ্ধৃত করে এ খবর জানিয়েছে। এদিকে ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয় বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের পক্ষ থেকে দেওয়া চাপের কারণেই পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন লেবাননের ওই প্রধানমন্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার রাতে এক ফোনের মাধ্যমে হারিরিকে সৌদি আরবে তলব করা হয়। এক সূত্র জানায়, গত শনিবার সৌদি প্রটোকল কর্মকর্তার কাছ থেকে ফোন পান হারিরি। তাকে বলা হয় যে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান তার সঙ্গে দেখা করতে চান। চারঘণ্টা অপেক্ষা করার পর তিনি টেলিভিশনে নিজের পদত্যাগপত্র পড়েন। মিডল ইষ্ট মনিটর নিজ সূত্রের বরাতে দাবি করে, লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হারিরির পদত্যাগে চাপ প্রয়োগ করতে এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। গত শনিবার নেতানিয়াহু হারিরির পদত্যাগকে শত্রু ইরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি স্পষ্ট বার্তা বলে আখ্যা দেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিডর লিবারম্যান বলেন, এক বছর আগেই হিজবুল্লাহর উত্থান সম্পর্কে ইসরায়েল যে সতর্কতা জানিয়েছিল, হারিরির পদত্যাগ তারই প্রতিফলন। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী তেহরান সমর্থিত এই গোষ্ঠীর যেকোন হুমকি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি। ফাঁস হওয়া তারবার্তা মোতাবেক, সৌদি আরবের সাম্প্রতিক তৎপরতা এবং লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরিকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্বের সব সৌদি- রাষ্ট্রদূতের কাছে এক বার্তা পাঠানো হয়েছে। শ্রেণীবদ্ধ ওই তার বার্তায় দেখা যায়, বিভিন্ন দেশে কর্মরত ইসরায়েলি কূটনীতিককে নির্দেশ দেওয়া হয়, তারা যেন লেবাননের রাজনীতি এবং সরকার থেকে হিজবুল্লাকে বহিস্কারের পক্ষে তৎপর হয়। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রালয়ের উপদেষ্টা হোসাইন শেখ আল ইসলাম লেবাননের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগকে তার প্রজ্ঞার অভাব আখ্যা দিয়েছেন। ‘এই পদত্যাগের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নিকট থেকে এসেছে। এটা লেবাননের জন্য ভালো হয়নি।’ মন্তব্য করেন তিনি।