যথাযোগ্য মর্যাদায় নূর হোসেন দিবস পালিত
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ নূর হোসেন দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার সকালে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন রাজধানীর জিরো পয়েন্টে শহিদ নূর হোসেন স্কয়ারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এ উপলক্ষে সকাল ৮ টায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নূর হোসেন স্কায়ারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম–সাধারণ সম্পাদক মাহবুব–উল–আলম হানিফ, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, একেএম এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এসএম কামাল হোসেন ও অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওছার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। শহীদ নূর হোসেন সংসদের কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে নূর হোসেন চত্বরে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে জুরাইন কবরস্থানে নূর হোসেনের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং ফাতেহা পাঠ। রাজধানীর জিরো পয়েন্ট মোড়ে ‘শহীদ নূর হোসেন স্কয়ার’-এ সকাল সাড়ে আটটায় ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নূর হোসেনের বড় ভাই আলী হোসেন। পরে রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে নূর হোসেনের বড় ভাই আলী হোসেন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ও দোয়া পাঠ করেন। দিবস উপলক্ষে ‘শহীদ নূর হোসেন ফাউন্ডেশন’ সকাল ৯ টায় জুরাইন কবরস্থানে পূষ্পমাল্য অর্পণ এবং বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। এ ছাড়াও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, আওয়ামী যুবলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ যুব মৈত্রী, যুবমৈত্রী, ছাত্রমৈত্রী, বিপ্লবী ছাত্রসংহতি, শহিদ নূর হোসেন ফাউন্ডেশন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ আওয়ামী মোটর চালক লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন নূর হোসেন স্কায়ারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর ১৫ দল, ৭ দল ও ৫ দলের সচিবালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি ছিলো। সেই কর্মসূচির সাথে স¤পৃক্ত ছাত্র সংগঠনগুলোর সমর্থনে অবস্থান ধর্মঘট ঘেরাও কর্মসূচিতে রূপ লাভ করে। স্বৈরশাসকের সকল বাধাকে উপেক্ষা করে ১০ নভেম্বর সকাল থেকেই সচিবালয়ের চারদিকে আন্দোলনকারী ছাত্র–জনতার মিছিল সমবেত হয়। তখন তোপখানা রোডের মুখে পুলিশ বক্স পেরিয়ে শুরু হয় নূর হোসেনদের সাহসী মিছিল, সাহসী যুবক খালি গায়ে লিখেছিল ‘গণতন্ত্র মুক্তিপাক– স্বৈরাচার নিপাত যাক’। সমাবেশ শুরুর সাথে সাথে শুরু হয় পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ। পল্টন তখন রণক্ষেত্র। এরইমধ্যে খবর আসে পুলিশের গুলিবর্ষণে শহিদ হয়েছেন নূর হোসেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য। নূর হোসেনের আত্মদানের মাধ্যমে সেদিন গণতন্ত্রের নতুন সংগ্রাম শুরু হয়। সেই সংগ্রামের ধারায় ১৯৯০ সালের ৪ ডিসেম্বর স্বৈরাচারী শাসক পদত্যাগের ঘোষণা দেন।