ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হারিরি পদত্যাগ করার পর দেশটিতে সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকটে তাদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, যদিও সৌদি আরবের অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে লেবানন। তারপরও তাদের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র লেবাননকে সমর্থন জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে প্রতিনিধিদের পাঠানো এক বার্তায় সৌদি আরব থেকে ভিন্ন সুরে কথা বলা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা জানায়, লেবাননের জনগণ ও গণতান্ত্রিক সরকার ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সবসময়ই সমর্থন েেদ্ব ইউরোপ। একইরকম বার্তা ছিলো যুক্তরাষ্ট্রেরও। লেবাননে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র লেবাননের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা ও গণতান্ত্রিক উন্নয়নে পাশে থাকবে। দেশটির সেনপ্রধানের জেনারেল জোসেফ আউনের সঙ্গে কথা বলে এসব কথা জানিয়েছেন তিনি। হারিরির আকস্মিক পদত্যাগে রাজনৈতিক সংকটে পড়ে লেবানন। এই ঘটনায় সৌদি আরব ও তার আঞ্চলিক প্রতিপক্ষ ইরানের মধ্যকার রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে পড়েছে লেবানন। এই দ্বন্দ্বের মধ্যবর্তী রয়ছে সিরিয়া, ইরাক, বাহরাইন ও ইয়েমেনও। লেবানিজ সেনাবাহিনীকে ৪ কোটি ২৯ লাখ ডলার সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে হিজবুল্লাহ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। গত মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, লেবানন গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন সহযোগী দেশ। দফতরের মুখপাত্র হেদার নরেট বলেন, ‘লেবাননের বৈধ সরকারকে সমর্থন কর যুক্তরাষ্ট্র। আমরা চাই বিশ্বের সব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সেই বৈধ ধারাকে সম্মান করুক।’