এমন হার মানাটা খুব কষ্টের
ডিটেকটিভ স্পোর্টস ডেস্ক
এমন একটা হারের কোনো ব্যাখ্যা হয় না। উজবেকিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে নিশ্চিত ড্রয়ের দিকে যখন ম্যাচ, ঠিক তখনই নিরীহ একটা ক্রস আতিকুজ্জামানের পায়ে লেগে জালে ঢুকে গেল। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার কিছুতেই নিজেকে ‘ক্ষমা’ করতে পারছেন না, ‘আমার কপাল খারাপ। আর কী বলব? তাও সান্ত¡না পেতাম, যদি ক্লিয়ার করতে গিয়ে বল জালে পাঠাতাম। আমি দৌড়ে নিচে যাচ্ছিলাম, তখনই কিনা বলটা আমার পায়ে লেগে গোলে ঢুকে গেল! আমার জন্য চূড়ান্ত পর্বের স্বপ্নটাই ভেঙে গেল দলের।’ এমনিতে দুশানবের হোটেল তাজিকিস্তানের লবি মুখরিত থাকে বাংলাদেশের ফুটবলারদের হাসি-ঠাট্টায়। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবলের বাছাইপর্বের ‘বি’ গ্রুপে খেলতে আসা দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের ফুটবলাররা অনেক বেশি প্রাণোচ্ছল, হোটেলের তাজিক স্টাফরা এটা খুব ভালো করেই জানেন। কালকের অমন হারের পর তাঁদেরও মন খারাপ। উজবেকিস্তান কতটা শক্তিশালী দল, সেটা ফুটবলপ্রেমীদের নিশ্চয়ই নতুন করে মনে করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। ম্যাচে বাংলাদেশ যে জিতবেÑএমন ভাবনা কারোর মধ্যেই ছিল না। কিন্তু মাঠে বাংলাদেশের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স সবার মধ্যেই আশা জাগিয়েছিল। স্থানীয় দর্শকেরাও গলা ফাটিয়ে বাংলাদেশ দলকে সমর্থন দিয়ে গেছে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২০ ধাপ এগিয়ে থাকা কোনো দলের বিপক্ষে ৯৪ মিনিটে আত্মঘাতী গোল খেয়ে হেরে যাওয়ার কোনো সান্ত¡নাই থাকার কথা নয়। উজবেকিস্তানের নামের পাশে বল পজিশনের গড় অনেক বেশি উজ্জ্বল দেখালেও বাংলাদেশকে খুব বিচলিত করতে পারেনি তারা। বাংলাদেশ কোচ মাহবুব হোসেন রক্সির দুঃখটাও এ জায়গা থেকেই, ‘আমাদের কপাল খারাপ। ড্রটা আমাদের প্রাপ্য ছিল। যদি বুঝতাম ওরা আমাদের খেলে হারিয়েছে, মেনে নেওয়া যেত। কিন্তু সারা ম্যাচে লড়াই করে আত্মঘাতী গোলে হারাটা খুবই কষ্টকর।’ এই হারে সেরা রানার্সআপ হিসেবে চূড়ান্ত পর্বের স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেছেÑএটা বলাই যায়। তিন ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ আছে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে। বাংলাদেশ রানার্সআপ হওয়ার সম্ভাবনাও খুবই ক্ষীণ। গোল ব্যবধানে তাজিকিস্তান ( +১১) বাংলাদেশের (০) চেয়ে অনেক এগিয়ে। তাই দ্বিতীয় হয়ে বাছাইপর্ব শেষ করতে চাইলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জিততে হবে। আবার তাজিকিস্তানকেও বড় ব্যবধানে হারতে হবে উজবেকিস্তানের বিপক্ষে।