খাবার থেকে অ্যালার্জি হলে করনীয়
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
মাংস ছাড়াও বিভিন্ন খাবার থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। তাৎক্ষণিকভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কয়েকটা বিষয় জেনে রাখা ভালো।
গরুর মাংস কিংবা অন্যান্য খাবার থেকে অ্যালার্জি হলে কী করণীয় সে বিষয়ে জানিয়েছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং অধ্যাপক ডা. রাশেদ মোহাম্মদ খান।
অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া ব্যক্তি ভেদে বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। এদের মধ্যে শরীরে চুলকানি, শরীর ফুলে যাওয়া, র্যাশ হওয়া, ত্বকের বিভিন্ন স্থানে চাকা হয়ে লাল হয়ে ফুলে ওঠা সঙ্গে প্রচ- চুলকানি হওয়া ইত্যাদি প্রতিক্রিয়াগুলো প্রায়ই দেখা যায়।
সাধারণত ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। আর তা না হলে অ্যান্টি-হিস্টামিন-ধরনের ওষুধ সেবন করা যেতে পারে।
ডা. রাশেদ পরামর্শ দেন, “গরুর মাংসে অ্যালার্জি আছে তা যদি জানা থাকে তবে ওই ব্যক্তির গরুর মাংস না খাওয়াই উচিত হবে। খাসি বা ছাগলের মাংসে সাধারণত অ্যালার্জি হতে দেখা যায় না। তাই গরুর বদলে খাসি বা ছাগল, ভেড়া, দুম্বা এসবের মাংস খেতে পারেন।”
তবে অ্যালার্জির সমস্যা আছে তা জেনেও যদি কেউ যদি মনে করেন গরুর মাংস খাবেনই, সেক্ষেত্রে প্রস্তুতি নিতে হবে এক সপ্তাহ বা ১৫ দিন আগে থেকে।
এই এক সপ্তাহ বা ১৫ দিন ধরে প্রতিদিন রাত্রে তাকে একটি করে অ্যান্টি-হিস্টামিন অষুধ খেতে হবে। এই সাবধানতা অবলম্বন করলে যাদের অ্যালার্জি কম তাদের লাভ হতে পারে।ত
বে যাদের অ্যালার্জির সমস্যা বেশি তাদের ক্ষেত্রে এটা খুব একটা কার্যকর হবে না। তাদের ক্ষেত্রে গরুর মাংস এড়িয়ে চলাই ভালো।
কারও যদি ঈদের সময়ে গরুর মাংস খেয়ে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয় যা আগে ছিল না, তবে প্রথমেই তাকে গরুর মাংস খাওয়া বন্ধ করতে হবে। এরপর খেতে হবে অ্যান্টি-হিস্টামিন ওষুধ।
অ্যালার্জি সামান্য মাত্রায় হলে আক্রান্ত স্থানে বরফ দিলে উপকার পাওয়া যায়।
গরুর মাংস ছাড়া অন্য কোনো খাবার থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে। সেই খাবারটি চিহ্নিত করে তা খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে। আর কারও পরিস্থিতি যদি বেশি খারাপ হয়ে যায়, যেমন গরুর মাংস খাওয়া বন্ধ করে এবং ওষুধ খাওয়ার পরেও লাভ হচ্ছে না, অথবা এতই অসুস্থ হয়ে গেছেন যে ওষুধ খেতে পারছেন না তবে অবশ্যই হাসপাতালে নেওয়া উচিত।
সাধারণত ইঞ্জেকশন দিয়ে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া কমানো হয়।