যে কারণে তরল ‘ডায়েট’ ক্ষতিকর
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
দ্রুত ওজন কমাতে তরল ডায়েট খুব সহজ মনে হতে পারে। তবে এই ধরনের ডায়েটের নানান ক্ষতিকর দিক রয়েছে। যে কারণে চিকিৎসকের কাছে পর্যন্ত যেতে হতে পারে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, তরল ডায়েট হল- জুস, তরল খাবার বা ঘরের কোনো খাবার যা সাধারণ তাপমাত্রায় গলে যায়। এই খাদ্যাভ্যাস ওজন কমালেও শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। ফলে যেতে হতে পারে হাসপাতালে।
শরীর নিস্তেজ হয়ে যেতে পারে: বেঁচে থাকতে শক্তির প্রয়োজন যা আসে প্রধানত শক্ত খাবার থেকে। শক্ত খাবার শরীরকে কর্মক্ষম থাকার সর্বোচ্চ শক্তি প্রদান করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তরল ডায়েটে পুষ্টির ঘাটতি থাকে যা শরীরে নানান সমস্যা সৃষ্টির পাশাপাশি শক্তির মাত্রা কমিয়ে দেয়।
পুষ্টির ঘাটতি: তরল ডায়েটে ভিটামিন, খনিজ, কার্বোহাইড্রেইট ও চর্বির ঘাটতি থাকে, যা নানান সমস্যার সৃষ্টি করে। ক্লান্ত অনুভবের পাশাপাশি এটা শরীরে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তাছাড়া এই ডায়েট রক্ত চাপ ও রক্তের শর্করার মাত্রা কমায়, যকৃতের সমস্যা সৃষ্টি করে ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি রোগের সৃষ্টি করে।
আবেগিক প্রভাব: পর্যাপ্ত পুষ্টি গ্রহণ না করলে তার প্রভাব মন মেজাজের উপরেও পড়ে। এতে গম্ভীর ও খিটমিটে অনুভব করতে পারেন, অলস বা উ™£ান্ত মনে হতে পারে। ফলে দৈনন্দিন কাজ বা শরীরচর্চা অনেক বেশি কঠিন মনে হয়।
ক্যালরির ঘাটতি: এই ধরনের ডায়েটে ৯শ’ থেকে ১২শ’ ক্যালরি পাওয়া যায় যা একজন ব্যক্তির দৈনিক ক্যালরির চাহিদার চেয়ে কম। এইভাবে যদি এক সপ্তাহ চলতে থাকে তা হলে দেহে ক্ষুধা মন্দা দেখা দেবে। এর মানে হল শরীরে বিপাকের হার হ্রাস পাবে। দেহ তখন ক্যালরি সংরক্ষণ শুরু করবে। কারণ এরপর আবার কখন খাওয়া হবে সে সম্পর্কে নিশ্চয়তা নেই।
বিজ্ঞান সম্মত নয়: ওজন কমাতে তরল ডায়েট বা কেবল জুসের উপর নির্ভর করা নিয়ে বিজ্ঞান সম্মত কোনো ইতিবাচক প্রমাণ মেলেনি। বরং তরল ডায়েট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শরীর পরিষ্কার রাখে ইত্যাদি বিষয়গুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অমূলক।