January 21, 2025, 6:25 am

সংবাদ শিরোনাম

স্বামীর হাতে মার খাওয়া স্ত্রীর জন্য আর্শীবাদ!

স্বামীর হাতে মার খাওয়া স্ত্রীর জন্য আর্শীবাদ!

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

 লাঠি দিয়ে মারার পাশাপাশি রেশমের রুমাল বা কাপড়ের টুকরো দিয়ে অবাধ্য স্ত্রীর গলায় ফাঁস দেওয়ার উপদেশও দেওয়া হয়েছে এই ভিডিওয়।
আদেশ না মারলে স্ত্রীকে বেধড়ক মারার অধিকার মুসলিম পুরুষদের আছে। শুধু তাই নয়, স্বামীর কাছে মার খাওয়া মহিলাদের কাছে আশীর্বাদ।
এমনটাই দাবি অস্ট্রেলিয়ার একটি ইসলামি মৌলবাদী সংগঠন হিজাব–উত–তাহিরের মহিলা শাখার।
ওই সংগঠনের সদস্যা রিম আলুখ আবার সিডনির এক স্কুলের শিক্ষিকা। সহকর্মিনী আতিকা লতিফির সঙ্গে কথোপকথনের একটি ভিডিও আপলোড করেছেন আলুখ।
সেখানে আলোচনা করা হয়েছে, ঠিক কী কী ভাবে স্ত্রীকে মারলে সেটা ইসলামসম্মত হবে।
বলা হয়েছে, খালি হাত নয় মারধরের ক্ষেত্রে ব্যবহার
করতে হবে লাঠি। চেষ্টা করতে হবে যাতে রক্তপাত কম হয়। আঘাতের চিহ্ন যাতে বাইরে থেকে দেখা না যায়, সেই চেষ্টাও করতে হবে।
লাঠি দিয়ে মারার পাশাপাশি রেশমের রুমাল বা কাপড়ের টুকরো দিয়ে অবাধ্য স্ত্রীর গলায় ফাঁস দেওয়ার উপদেশও দেওয়া হয়েছে এই ভিডিওয়।
অবাধ্যতার তালিকায় রয়েছে একবারে কথার উত্তর না দেওয়া, স্বামী এবং সৃষ্টিকর্তাকে সম্মান না করা, রান্না না করতে চাওয়া, ধর্মীয় শিক্ষায় অনীহা, স্বামীর অপছন্দের পোশাক পরার মতো কাজ।
বর্বরতার চরম সীমায় উঠে ওই দুই মহিলা ভিডিওয় এ–ও দাবি করেছেন, স্ত্রীকে প্রহার করলে স্বামীদের তাড়াতাড়ি ঘুম আসবে। বর্হিজগতে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতাও বাড়বে।
সাফাই হিসাবে বলা হয়েছে, ‘‌স্ত্রীকে ভালবাসলে একটু আধটু মারধর করা যেতেই পারে। এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার।
তাতেও কাজ না হলে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করা যেতে পারে।’‌ ইতিমধ্যেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ৩০ মিনিটের ভিডিওটি।
নিন্দার ঝড় উঠেছে অস্ট্রেলিয়া জুড়ে। সকলেরই বক্তব্য, অস্ট্রেলিয়ার মতো সভ্য, আধুনিক দেশে এরকম মধ্যযুগীয় মনোভাবের কোনও জায়গা নেই।
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর