July 27, 2024, 9:44 am

সংবাদ শিরোনাম
বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের অভিযানে ১০ হাজার ইয়াবাসহ যুবক আটক পার্বতীপুরে নব-নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ভাই চেয়ারম্যানদ্বয়ের সংবর্ধনা রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা হতে জাল সার্টিফিকেট ও জাল সার্টিফিকেট তৈরীর সরঞ্জামাদিসহ ০২ জন’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ র‌্যাব-১০ এর অভিযানে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং এলাকা হতে ইয়াবাসহ ০১ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার কক্সবাজারে ভারী বৃষ্টিপাত পাহাড় ধ্বসে নারী-শিশু নিহত পীরগঞ্জে মসজিদের দোহাই সরকারি খাস জমির গাছ কর্তন পার্বতীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক হোসেন এর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন দারুসসালাম লাফনাউট মাদ্রাসার দস্তারবন্দী নিবন্ধন ফরম বিতরণ শুরু পীরগঞ্জে নিখোঁজের একদিন পর শিশু’র লাশ উদ্ধার মাদক মামলায় ১৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামী আলাউদ্দিন’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০

পীরগঞ্জে কুমারপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা

পীরগঞ্জে কুমারপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকে গোলাম মোস্তফা

 

রংপুরের পীরগঞ্জে করতোয়া নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার অযু হাত দেখিয়ে কুমারপুর নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়টি সোনাতলা মৌজায় স্থানান্তরিত করায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কোহিনুর বেগম ও তার স্বামী আমজাদ হোসেন কতৃক ও অবৈধভাবে শিক্ষক বহিষ্কার, নিয়োগ বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতি কারণে অফিস সহকারী ছিদ্দিকুর রহমান বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। জানা গেছে, উপজেলা চতরা ইউনিয়নের করতোয়া নদীর কোল ঘেষেঁ কুমার পুর নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১৫/০৫/২০০০ইং সালে বিদ্যালয়টি এম.পি.ও ভূক্ত হয়। কিন্তুু  বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের স্বামী আমজাদ হোসেন, এলাকার কতিপয় লোকজনের প্ররোচনায় নদী ভাঙ্গনের অযু হাতে বিদ্যালয়টি ২০১১ সালের ১৮ই মে প্রধান শিক্ষিকার নিজ গ্রাম ঘাষিপুর সোনাতলা মৌজায় স্থানান্তর করেন। ওই বিদ্যালয়টি সোনাতলা মৌজায় স্থানান্তরিত হওয়ায় ২০১১ সালের জে.এস.সি পরীক্ষায় ছাত্র-ছাত্রী অংশ গ্রহন করেনি। ওই বিদ্যালয়টির বর্তমান প্রধান শিক্ষিকার পারিবারিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে ওঠায় শিক্ষক/শিক্ষিকা নিয়মিত ভাবে বিদ্যালয়ে না আসায় ছাত্র-ছাত্রী শূণ্য হয়ে পড়েছে। প্রতি মাসে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকা সরকারি বেতন সুবিধা ভোগ করছেন শিক্ষক/শিক্ষিকারা। এ সব অনিয়মের খবর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলে সরকারি কর্মকর্তাদের দৃষ্টিপড়ে বিদ্যালয়টির উপরে। অপরদিকে প্রধান শিক্ষক কোহিনুর বেগম তার দুইটি সাটিফিকেট তৃতীয় বিভাগ থাকায় বিএডের ভুয়া সাটিফিকেট বানিয়ে বি.এড স্কেল বিলভাতা বিধির বহিভূত ভাবে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কৃষি পদে) সোলায়মান হোসেন ০২/০৩/১৯৮৫ সালের জন্ম গ্রহন করেন ১৯৯৪ সালে  তাকে উক্ত বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেন। বিগত ০১/০১/১৯৯৫ সালে ওই স্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। ১০বছর বয়সে বি.এ পাস দেখিয়ে সে অনুযায়ী ২০০০ সাল হইতে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বি.এ পাশ দেখিয়ে বিলভাতা উত্তোলন করে আসছে। আব্দুর রাজ্জাক সহকারী শিক্ষক (সমাজ-বিজ্ঞান) পদে তাহার জন্ম তারিখ এম.পি.ও সিটে ২০১৫ সালের, সেপ্টেম্বরের তার জন্ম তারিখে ১০/০২/১৯৭০ইং ২০১৬ সালে নভেম্বর মাসে জন্ম তারিখ পরিবর্তন করে ০৪/০৮/১৯৭৪ইং তার সাটিফিকেট তৃতীয় বিভাগ হওয়ায় তাকে দ্বিতীয় বিভাগ শুধু মাত্র কাগজ কলমে দেখানো হয়। সহকারী শিক্ষক (শরীর চর্চা) ০১/০৭/২০০০ইং যোগদান করেন এবং একই তারিখ দেখিয়ে বি.এড পরীক্ষা না দিয়ে এম.এড পরীক্ষা দেখানো হয়। আব্দুল খালেক নামের সহকারী শিক্ষক ১৯৯৫ সালে বি এ পাশ দেখিয়ে ১৯৯৪ সালে বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। অন্যদিকে ধুরন্ধর ওই প্রধান শিক্ষক চাকরি দেওয়ার নামে, সাদ্দাম হোসেন, নজরুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদ, ইউসুফ আলী, শহিদুল ইসলাম সহ কয়েকজনের নিকট প্রায় ২৫/৩০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজেই পকেটস্থ করেছেন। এ দিকে ধুরন্ধর প্রধান শিক্ষক নবম-দশম শ্রেণী মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠদানের অনুমতির জন্য গিলাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় সহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্র/ছাত্রী ভাড়া করে গত শনিবার দিনাজপুর মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরির্দশক  আলতাব হোসেন সহকারী পরিদশক আনিছুর রহমান পরিদশন করেছেন। উল্লেখ্য সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ ওই বিদ্যালয়টি সরজমিনে তদন্ত করে ছাত্র/ছাত্রী না থাকায় শিক্ষা মন্ত্রনালয় মহাপরিচালক বরাবরে ডিওলেটার প্রদান করেন যাহার ন্মারক নং- আ.কাআ/ঢাকা/২০১৩/৫৭। পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রলায়ের তদন্তে মাধ্যমে দূর্নীতি অনিয়ম সত্য প্রমানিত হয়। যাহার স্মারক নং- ৪জি/৬৩৩৪-ম/২০১০/১৩৯৯/৪, তারিখ ০৬/০৩/২০১৩ইং। এ ব্যাপারে  উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মমিন জানান এ সব বিষয়ে সত্যতা প্রমানহলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান। প্রধান শিক্ষিকা কোহিনুর বেগম জানান একটি মহল প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস করার জন্য বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করায় সোনাতলা মৌজায় বিদ্যালয়টি স্থানান্তরিত করা হয়। খুব শ্রীঘ্রই প্রধান শিক্ষিকা ও তার স্বামী আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসির। 

 

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর