December 22, 2024, 8:22 pm

সংবাদ শিরোনাম
পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়, পুলিশ ও জনগণ একে অন্যের পরিপূরক-রেজাউল করিম মল্লিক দলের পরিবর্তন হয়েছে চরিত্রের পরিবর্তন হয়নি শায়খে চরমোনাই মুফতি ফয়জুল করীম আপনারা শান্তিতে থাকুন আমরা চাই,আমাদেরকেও আপনারা শান্তিতে থাকতে দিন- ডা. শফিকুর রহমান যশোরে গাছের সাথে বাসের ধাক্কায় নিহত ১ পার্বতীপুরে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা ২০২৪ অনুষ্ঠিত বাংলাভিশন ডিজিটালের নির্বাহী সম্পাদকের বিরুদ্ধে নাবিলের অপপ্রচারের প্রতিবাদ হিলিতে বিজিবি দিবসে বিএসএফকে মিষ্টি উপহার বিজিবির কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে আওয়ামী লীগের নেতা গ্রেপ্তার পটুয়াখালীতে বাড়ির সীমানা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত-৬ গভীর রাতে আশ্রায়ন প্রকল্পের শীতার্তদের পাশে হাকিমপুরের ইউএনও অমিত রায়

২০২১ সালে দেশের ইণ্ডগভর্নেন্স হবে পেপারলেস: পলক

২০২১ সালে দেশের ইণ্ডগভর্নেন্স হবে পেপারলেস: পলক

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক 

 ২০২১ সালের মধ্যে সরকারি কোনো সার্ভিস, কোনো লেনদেনের জন্য ফিজিক্যালি গিয়ে ধরনা দিতে হবে না মন্তব্য করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, তখন দেশের ইণ্ডগভর্নেন্স হবে পেপারলেস, ট্রানজেকশন হবে ক্যাশলেস। লালফিতার দৌরাত্ম্য থাকবে না। আমরা ফিঙ্গার টিপসে সব সেবা দিতে চাই। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কলসেন্টার ও মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা জেনে আনন্দিত হবে এ মুহূর্তে বাংলাদেশের বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং সেক্টরের ব্যবসা ঢাকায় শুরু হয়েছিল সাতণ্ডআট বছর আগে। ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কল সেন্টারের লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে নতুন একটি জব সেক্টর উন্মুক্ত করেছিলেন তরুণদের জন্য। চট্টগ্রামেরই একজন তরুণ, আমার অত্যন্ত প্রিয় মেজবা ভাই সাহসিকতার সঙ্গে চট্টগ্রামের মাটিতে হ্যালো ওয়ার্ল্ডের যাত্রা শুরু করেছিলেন আট বছর আগে। আজ সেই হ্যালো ওয়ার্ল্ড কিন্তু চট্টগ্রামের গণ্ডি পেরিয়ে, দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ব অঙ্গনে চট্টগ্রামের নাম সুপরিচিত করেছে। বিশ্বে চট্টগ্রামকে দ্বিতীয় ডেসটিনেশনে পরিণত করেছে। ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প ঘোষণা করেন, তখন অনেক রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ঠাট্টাণ্ডতামাশা করেছিল উল্লেখ করে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তখন দেশে ৬০ লাখ মানুষেরও ইন্টারনেট সংযোগ ছিল না। সেখান থেকে কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প দিয়েছিলেন। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সব কিছুতে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার করবেন। যাতে সেবার মান বাড়ানো যায়, সময়, হয়রানিণ্ডদুর্নীতি কমানো যায়, সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া যায়। সে লক্ষ্যে আইসিটি পলিসিতে ৩০৬টি করণীয় নির্ধারণ করে অ্যাকশন প্ল্যান করেছিলাম। ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় চারটি পিলার দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথমটা হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপ। এ লক্ষ্যে আইসিটি বিষয়কে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সারা দেশে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করছি। চসিকের ১৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ল্যাব করেছি মেয়রের অনুরোধে। চট্টগ্রাম জেলায় আছে ৮০টি ল্যাব। দ্বিতীয়তটা হচ্ছে কানেকটিভিটি। ছয় দফায় ৭৮ হাজার টাকা (প্রতি এমবিপিএস) থেকে কমিয়ে ৬২৫ টাকায় নামিয়ে আনা এবং সরকারের ২০০ রকম সেবা ইন্টারনেটে নিশ্চিত করায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। উপজেলা পর্যন্ত আমরা ফাইবার অপটিক কেবল নিয়েছি। ২০১৮ সালের মধ্যে ইউনিয়ন পর্যন্ত পৌঁছে দেব। ৫২৭২টি ডিজিটাল সেন্টার করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব সিটি করপোরেশনে একের পর এক অটোমেশন কার্যক্রম শুরু করছি। চসিকের যত সেবা আছে প্রতিটি সেবা আইসিটি বিভাগ থেকে অটোমেশন করব, মানুষের হাতের মুঠোয় নিয়ে যাব।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর