ক্ষতিকর দিক বরফ চিবানোর
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
গরমের দিনে লেমোনেডের নিচের বরফগুলো চিবিয়ে ভেঙে খেতে যদিও তৃপ্তি দেয়, তবে এরও আছে ক্ষতিকর দিক।
আবার বরফ চিবিয়ে খাওয়ার ইচ্ছে হওয়াটাও নাকি রোগের লক্ষণ।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের বরাত দিয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, ‘প্যাগোফেজিয়া’ নামক একধরনের খাওয়াভিত্তিক রোগের লক্ষণ হচ্ছে বরফ চিবিয়ে খাওয়া।
এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা ভোজ্য নয় এমন বস্তু যেমন- চুল, মাটি ইত্যাদি খায়। এটি ছাড়াও আরও একাধিক শারীরিক, মানসিক ও আবেগতাড়িত সমস্যার সঙ্গেও বরফ চিবিয়ে খাওয়ার সম্পর্কও আছে।
* বরফ চিবিয়ে খাওয়ার কারণে দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনকি এনামেলের আস্তর ফেটেও যেতে পারে, ফলে রুট ক্যানাল করার প্রয়োজন হতে পারে।
* টুকরা বরফ খেতে গিয়ে মাড়িতে খোঁচা লেগে মারাত্বক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
* বিশেষজ্ঞদের মতে, পুষ্টিগুণ নেই এমন খাবার চিবিয়ে খাওয়া রক্তশূন্যতার লক্ষণ। দুটির মধ্যে নির্দিষ্ট সম্পর্ক পাওয়া না গেলেও বরফ ও অন্যান্য পুষ্টিগুণহীন খাবার চিবানোর মাধ্যমে তারা অবসাদগ্রস্ততা এড়ানোর চেষ্টা করেন।
* আবেগতাড়িত সমস্যার লক্ষণ হতে পারে বরফ চিবানো। যেমন, ‘পিকা’ বা মানসিক চাপজনীত লক্ষণ। শিশুদের ক্ষেত্রে এটি অবসেসিভ কমপালশন ডিসোর্ডার, যা তাদের বিকাশের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। যদি লৌহের অভাব না থাকে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
* বরফ চিবানোর কারণে দাঁতের সংবেদনশীলতা নষ্ট হয়। এছাড়াও চোয়ালের পেশিতে ব্যথাও হতে পারে।
* দুশ্চিন্তাগ্রস্ততার লক্ষণ হতে পারে বরফ চিবানো।
* শরীরে পুষ্টির অভাব থাকলে মুখ ও জিহ্বায় প্রদাহ দেখা দিতে পারে। এমতাবস্থায় বরফ চিবানোতে সাময়িক আরাম পাওয়া গেলেও সেটা খুব একটা কার্যকর নয়।
* বরফ চিবিয়ে খাওয়া যদি অভ্যাসে পরিণত হয়ে থাকে তবে উচিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। বরফ চিবানোর অভ্যাস তাড়াতে চুইংগাম খেতে পারেন।
তবে বরফ চুষে খাওয়ার সঙ্গে কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যার সম্পর্ক নেই। মুখগহ্বর শুকনো হলে কিংবা সাময়িক তৃষ্ণা মেটাতে বরফ চুষে থেতে পারেন।