তন্ময় ধর নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁয় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও বিশেষ ডিভাইসের মাধ্যমে উত্তর সরবরাহ চক্রের কলেজের শিক্ষক সহ ১০ পরীক্ষার্থী গ্রেফতারসহ বিপুল পরিমান ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দুপুরে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।গ্রেফতারতরা হলোঃ জেলার ধামইরহাট ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক ও ধামইরহাট উপজেলার দক্ষিন শ্যামপুর গ্রামের মঈন উদ্দিন মন্ডলের পুত্র মোরশেদুল আলম (৪৫), নওগাঁ সদর উপজেলার তিলকপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের কন্যা তহমিনা আকতার (২৭), ও ধোপাইকুড়ি গ্রামের আজিমুদ্দিনের কন্যা আতিয়া সুলতানা বিথি (২৬), পত্মীতলা উপজেলার সিধাতৈল গ্রামের মোসাদ্দেক হোসেনে স্ত্রী মোছাঃ সুইট পারভীন (২৬), চক শ্রীপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের পুত্র নেশারুল হক (৩২) ও বনগ্রামের মজিবর রহমানের পুত্র মিলন হোসেন (৩৫) ও বর্জেগঞ্জ গ্রামের মাজেম উদ্দিনের কন্যা সবিনা ইয়াসমিন (২৭), মহাদেবপুর উপজেলার বারবাকপুর গ্রামের শহিদুর রহমানের পুত্র ফরহাদ হোসেন (৩৫), ও ভীমপুর গ্রামের আলতাফ হোসেনের পুত্র মামুনুর রশিদ (৩২) এবং নওগাঁ শহরের পার-নওগাঁ মহল্লার গোলাম মোস্তফার কন্যা মুক্তা আকতার (২৫)। শহরের কোমাইগাড়ী মহল্লার তাজুলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ডিভাইসগুলো উদ্ধার করা হয়।পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন দুপুর আড়াইটায় তাঁর মিলনায়তনের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে-এসব তথ্য প্রদান করেছেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশিদুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিবুল আকতার এবং সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফারজানা হোসেন সহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।তাঁর দেয়া তথ্য মতে জানা গেছে, ২০১৪ সালে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে শনিবার অনুষ্ঠিতব্য নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সম্ভাবনার তথ্য পুলিশের নিকট ছিল। সেভাবে পুলিশ প্রস্তুতও ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেনের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশিদুল হকের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার একদল সদস্য প্রথমে কোমাইগাড়ী মহল্লার হাবিলের ছেলে তাজুলের বাড়ি তল্লাশী চালিয়ে ডিভাইসগুলো উদ্ধার করেন। এসময় তাজুলের বাড়ির সবাই পলাতক থাকায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারে নি।তিনি জানান এই চক্র পরীক্ষার কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী সেজে প্রবেশ করে প্রশ্নপত্র নিয়ে বেড়িয়ে আসে। পরবর্তীতে ওই ঘরে বসে উত্তরগুলো অর্থের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ পরীক্ষার্থীদের নিকট এসব ডিভাইসের মাধ্যমে পৌঁছে দিচ্ছিল। এক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীরা কানে অতি ছোট এক ধরনের ওয়ারলেস যন্ত্র ব্যবহার করছিল এবং পকেটে ব্লুটুথের মত এক ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করেছিল। ওই ঘর থেকে একযোগে এসব পরীক্সাথীদের নিকট উত্তর সরবরাহ করা হচ্ছিল।পরে এসব ভিভাইসের সুত্র ধরে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষকসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নওগাঁ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে এবং গ্রেফতারকৃতদের নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৭মে২০১৮/ইকবাল