December 22, 2024, 8:13 am

সংবাদ শিরোনাম
পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়, পুলিশ ও জনগণ একে অন্যের পরিপূরক-রেজাউল করিম মল্লিক দলের পরিবর্তন হয়েছে চরিত্রের পরিবর্তন হয়নি শায়খে চরমোনাই মুফতি ফয়জুল করীম আপনারা শান্তিতে থাকুন আমরা চাই,আমাদেরকেও আপনারা শান্তিতে থাকতে দিন- ডা. শফিকুর রহমান যশোরে গাছের সাথে বাসের ধাক্কায় নিহত ১ পার্বতীপুরে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা ২০২৪ অনুষ্ঠিত বাংলাভিশন ডিজিটালের নির্বাহী সম্পাদকের বিরুদ্ধে নাবিলের অপপ্রচারের প্রতিবাদ হিলিতে বিজিবি দিবসে বিএসএফকে মিষ্টি উপহার বিজিবির কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে আওয়ামী লীগের নেতা গ্রেপ্তার পটুয়াখালীতে বাড়ির সীমানা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত-৬ গভীর রাতে আশ্রায়ন প্রকল্পের শীতার্তদের পাশে হাকিমপুরের ইউএনও অমিত রায়

বাজার এখনো চড়া

বাজার এখনো চড়া


রমজানে এখনো সহনীয় পর্যায়ে আসেনি পণ্যবাজার। যথেষ্ট মজুদ থাকার পরও মূল্যবৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব হয়নি। নিত্যপণ্য তো বটেই, মাছ-মাংসও নির্দিষ্ট দামে বিক্রি হচ্ছে না। ভ্রাম্যমাণ আদালত বাজারে গেলে দাম কমানো হয়, সরে গেলেই আগের দামে বিক্রি শুরু হয়। রমজান মাসে বিএসটিআই, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, র‌্যাব-পুলিশের ভ্রাম্যমাণ আদালত, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার মনিটরিং টিমসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা পণ্যবাজারে মূল্যবৃদ্ধি ও জালজালিয়াতির বিষয়ে নজর রাখবে। এতে বাজার সহনীয় থাকবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের বাজার সিন্ডিকেট অনেক বেশি সক্রিয়। কর্তৃপক্ষের নজরদারি শুধু রমজানের বাজারকেন্দ্রিক না হয়ে যদি সারা বছর চালানো যেত, তাহলে হয়তো বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা যেত। বিকল্প বাজারব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে পারে। এবার রমজানেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। কোনো কোনো পণ্যের দাম নির্দিষ্ট একটি পর্যায়ে গিয়ে স্থিতিশীল হলেও মাছ-মাংসের বাজার এখনো অস্থিতিশীল। রমজানের আগেই গরু ও খাসির মাংসের দাম নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রমজান শুরুর পর নির্দিষ্ট দামে কোথাও মাংস বিক্রি হচ্ছিল না বলে অভিযোগ ছিল। একইভাবে মুরগির বাজারেও চড়া ভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। শুধু ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হলেই বাজারে নির্দিষ্ট দামে ব্রয়লার ও অন্য মুরগি বিক্রি হচ্ছে। আদালত সরে গেলেই অতিরিক্ত দাম আদায় করা হচ্ছে। অন্যদিকে সরবরাহ কমÑএমন অজুহাতে মাছের বাজার রমজান মাসের শুরু থেকেই অস্থিতিশীল।
বাজার নিয়ন্ত্রণে সবার আগে দরকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি। বিএসটিআই, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, র‌্যাব-পুলিশের ভ্রাম্যমাণ আদালত, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার মনিটরিং টিমসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা আগে থেকেই সক্রিয় হলে রমজানকেন্দ্রিক পণ্যের বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারসাজি ব্যবসায়ীরা করতে পারবে না। বন্ধ হবে জালজালিয়াতিও। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আগে থেকে সক্রিয় হলে বাজার যেমন নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তেমনি ভেজালের হাত থেকেও রক্ষা পাওয়া যাবে। রমজানের বাকি দিনগুলোতে বাজার সহনীয় রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি আরো বাড়ানো উচিত বলে আমরা মনে করি।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর