পিডিনিউজ ডেক্সঃ
স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একটি অবিচ্ছেদ্য নাম। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে তার অবদান যেমন ঐতিহাসিক, তেমনি অনন্য। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অগ্রণী নেত্রী হিসেবে তিনি কোটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তার সাহস, দূরদর্শিতা ও আপসহীন নেতৃত্ব আজও বিএনপির নেতা-কর্মীদের প্রেরণার উৎস।
দীর্ঘদিন অসুস্থতা কাটিয়ে ও রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের কঠিন সময় পেরিয়ে যখন তিনি আবারও দেশের মাটিতে ফিরলেন, তখন দেশজুড়ে সৃষ্টি হলো এক আবেগঘন পরিবেশ। শুধু রাজনৈতিক কর্মীদের মাঝে নয়, সাধারণ মানুষের মাঝেও ফিরে এলো আশা ও প্রত্যাশার নতুন আলো।
বিভিন্ন জেলা, মহানগর ও ইউনিয়ন পর্যায়ে দলীয় কার্যালয়গুলোতে নেতাকর্মীদের ঢল নামবে । জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা হাতে মিছিল, স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকার রাজপথ। কেউ নিয়ে আসবেন ফুলের মালা, কেউ ব্যানার, কেউ আবার পোস্টার হাতে প্রকাশ করবেন নিজেদের আবেগ ও ভালোবাসা। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়েও চলছে অভিনন্দন, ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতার ঢেউ।
এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন শুধু একটি ব্যক্তির ফেরাই নয়—এটি গণতন্ত্রের পক্ষে একটি বার্তা। এটি নিপীড়নের বিপরীতে প্রতিবাদের প্রতীক। নেত্রী ফিরে এসেছেন মানে সংগ্রামের নতুন অধ্যায় শুরু হবে। এ প্রত্যাবর্তন দেশবাসীর মনে নতুন আশার সঞ্চার করেছে—একটি সুষ্ঠু নির্বাচন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ও একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়কে আরও দৃঢ় করবে।
বিএনপির তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত প্রতিটি কর্মী এই উপলক্ষকে একটি নবজাগরণের রূপ দিচ্ছেন। তারা বুঝে গেছেন—সময় এসেছে আবারও সংগঠিত হবার, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার, এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথে দেশনেত্রীর নেতৃত্বে এগিয়ে চলার।
বেগম খালেদা জিয়ার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একদিকে যেমন আবেগঘন, তেমনি এটি একটি রাজনৈতিক দিকনির্দেশনাও। এটি রাজনৈতিক কর্মীদের জন্য দায়িত্ব ও প্রতিজ্ঞার নতুন বার্তা।
লেখক :- মোঃ আকতার হোসেন (ফরাজী) ধর্মীয়, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও গবেষক।