September 19, 2024, 7:12 am

কাজ করেও মজুরি পাননি ৪ শ্রমিক, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে কর্মহীন মৌসুমে স্বল্পমেয়াদী কর্মসংস্থান (ইজিপিপি) প্রকল্পে কাজ করেও মজুরি পাননি ৪ শ্রমিক। ইউনিয়ন পরিষদ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দফায় দফায় যোগাযোগ করেও মেলেনি কোনো সমাধান। উপায়ন্ত না পেয়ে জেলা প্রশাসকের ও দূর্নীতি দমন কমিশন কুড়িগ্রামের কাছে ইউপি চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ওই ৪ শ্রমিক।
জানাগেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় প্রতি অর্থ বছরে কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের আওতায় নয়ারহাট ইউনিয়নে ২৯৩ জন শ্রমিক মাটি কাটার কাজ করেন। ১ম পর্যায়ের ৪০ দিন ও ২য় পর্যায়ের ৩২ দিন কাজ করে শ্রমিকরা মজুরি হিসেবে প্রতি কর্ম দিবসের জন্য ৪০০ টাকা করে পেলেও চার শ্রমিক টাকা না পাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, ওই ইউনিয়নের সকল শ্রমিক তাদের মজুরির টাকা পেলেও নয়ারহাট ইউনিয়নের নাইয়ার চরের মোছা: কদভানু বেগম, রায়হান ইসলাম দক্ষিণের চরের মাসুদ রানা ও নুর ইসলাম তাদের ২ অর্থ বছরের ১৮০ কর্ম দিবসের মজুরির ৭২ হাজার টাকা করে পাননি। ইউনিয়ন পরিষদ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দফায় দফায় যোগাযোগ করেও মেলেনি কোনো সমাধান।
ভুক্তভোগী শ্রমিক রায়হান ইসলাম বলেন, আমি কর্মসৃজন কর্মসূচী প্রকল্পের লেবার সর্দার। প্রায় ৭/৮ বছর ধরে এ প্রকল্পের সাথে আমি জড়িত। বিগত কয়েক বছর ঠিকমতো আমার মজুরির টাকা পেলেও গত ১৮০ দিনের টাকা পায়নি। তবে সবশেষ ১২ দিনের টাকা পেয়েছি।
তিনি আরো বলেন, ওই ১৮০ দিনের মজুরির টাকা কেন পেলেন না খোঁজ নিয়ে দেখেন তার হিসাব নম্বরটি পরিবর্তন করে টাকা তুলে নেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে আমি চেয়ারম্যানের কাছে গেলে অসাদচারণ করেন। তিনি কলাগাছ প্রতিকের চেয়ারম্যান নন, নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান কি করার আছে করো বলে ধমক দেন।
লেবার সর্দার আরো বলেন, আমার সাথে আরো ৩ শ্রমিকের টাকাও আত্মসাত করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী অন্য ৩। শ্রমিক নুর ইসলাম, মাসুদ রানা ও কদভানু বেগম জানান, দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছে ঘুরেছি। টাকা পাবো বলে তারা আশ্বাস দিয়েছিলেন, কিন্তু পাইনি। সম্প্রতি তালিকা তুলে তারা দেখতে পেয়েছেন তাদের দেয়া রকেট হিসেব নাম্বার পরিবর্তন করে টাকা তুলে নেয়া হয়েছে।
প্রতিকার পেতে জেলা প্রশাসক ও দূর্নীতি দমন কমিশন কুড়িগ্রামের কাছে অভিযোগ করেছি।
বতমানে আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি।
টাকা তুলে নেয়া নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে ৪টি নাম্বারের মধ্যে ৩টি বন্ধ পাওয়া গেছে। সচল থাকা নাম্বারটি বড় চরের শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির। তবে তিনি ইজিপিপি প্রকল্পের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নয়ারহাট ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মো: আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন। তবে ওয়ার্ড সদস্য হামিদ’র সাথে সমস্যা ছিল তিনি সমাধান করেছেন।
এবিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা বলেন, আমি কুড়িগ্রামে সবে মাত্র যোগদান করেছি। অভিযোগটি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ হবে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর