লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
বসন্ত হাওয়া বইতে শুরু করেছে। বাইরে থেকে ফিরে চুলে হাত বুলিয়েই টের পাওয়া যায় বাতাসে ওড়ে কত কত ধুলোকণা। এ সময়টা শুষ্কতা ও ধুলোময়। ঘরের আসবাবপত্র থেকে শুরু করে সব ধরনের কাপড়ই দ্রুত ময়লা হয়। শহুরে বাড়ি বলতেই তা রাস্তার পাশে। আর বারান্দা ও জানালা দিয়েই মূলত ধুলোবালি প্রবেশ করে। তবে সারাক্ষণ জানালা বন্ধ করে রাখাও কষ্টকর। ঘরের গুমোটভাব কাটাতে একবেলা তো জানালা খুলে দিতেই হয়। তাছাড়া আলো-বাতাস চলাচলের জন্য ও ফাঙ্গাস প্রতিরোধের জন্য জানালা খোলা রাখাও জরুরি। সেক্ষেত্রে ধুলোবালি এড়াতে সপ্তাহে অন্তত দুদিন জানালার কাচ ও গ্রিল পরিষ্কার করতে হবে। কাচ পরিষ্কারের জন্য পানিতে লবণ মিশিয়ে পুরনো তোয়ালে ভিজিয়ে মুছে ফলুন। তাছাড়া মেঝে প্রতিদিনই মোছার প্রয়োজন পড়ে। মেঝে পরিষ্কারের জন্য বালতির পানিতে ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে মেঝের ময়লা ও দাগ উঠে যায়। তাছাড়া লবণ ও বেকিং সোডাও বেশ কার্যকরী পরিষ্কারক। টাইলসের মেঝে হলে ১৫ দিনে একবার ডিটারজেন্ট ও ব্রাশ দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করা উচিত। এতে চকচকে ভাব অক্ষুণ্ন থাকে।
ফ্যান, আয়না ও স্টেইনলেস স্টিলের জিনিসপত্র পরিষ্কার করতে ভিনেগার মেশানো পানি ব্যবহার করা ভালো।
ধুলোর দিনগুলোয় বালিশের কভার, কুশন কভার ও চাদর প্রতি সপ্তাহে পাল্টানো উচিত। এগুলো পরিষ্কার করতে ও দাগ তুলতে লেবুর রস, গরম পানি ও ভিনেগার ব্যবহার করা যেতে পারে। আর ধোয়ার পর কড়া রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন।
ঘরে যদি ধুলোর গন্ধ থাকে, তাহলে একদিন সময় বের করে বাড়ির সব আসবাবপত্র ও বইখাতা ঝেড়ে-মুছে নিন। ময়লা কাপড়গুলো ধোয়ার জন্য আলাদা করে রাখুন। এবার অবাঞ্ছিত দুর্গন্ধ দূর করতে চুলায় পানিতে দারচিনি সিদ্ধ করুন। ফুটতে শুরু করলে আঁচ কমিয়ে দিন। এতে দারচিনির সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়বে। শুধু পানিতে কয়েক ফোঁটা ভ্যানিলা ফেলে ফুটতে দিলেও মিষ্টি সুগন্ধে ভরে যাবে ঘর।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/মেধা