-
- অপরাধ, সারাদেশে
- বাগেরহাটে আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১১, চারজনের অবস্থা গুরুতর
- আপডেট সময় January, 2, 2023, 9:07 pm
- 98 বার পড়া হয়েছে
বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার পেড়ীখালী ইউনিয়নের আড়ুয়াডাঙ্গা গ্রামে ঠাকুর পুকুরপাড় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১১ জন আহত হয়েছেন। রবিবার রাত ৮টার দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ইউপি সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন ফকির গ্রুপের সাথে আনিস মাঝি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ১১ জনকে উদ্ধার করে প্রথমে রামপাল উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চার জনের অবস্থা গুরম্নতর হওয়ায় তাদের দ্রম্নত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহতরা হলেন, কামরম্নল শেখ (৩০), আনিস মাঝি (৪৮), ইউনুস মাঝি (৫২) ও হাসিব মাঝি (৩৫)। অন্য আহত ইউপি সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন ফকির (৪৫), আজাহার শেখ (৫৫), হাসমত শেখ (৫৪), রেজাউল শেখ (৩০), রুহুল আমিন (৬৫), শাহাবুদ্দিন (৩০) ও হুরাইরা মাঝিকে (১৮) রামপাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, উপজেলার পেড়ীখালী ইউনিয়নের আড়ুয়াডাঙ্গা গ্রামে রবিবার রাত ৮টার দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের আনিস মাঝি গ্রম্নপের লোকজন পেড়ীখালী ইউপি সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন ফকির গ্রম্নপের সদস্য সাইফুলকে আটকে রাখে। এখবর জানতে পেরে ইউপি সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন ফকিরসহ তার লোকজন সাইফুলকে উদ্ধার করকে গেলে আনিস মাঝি গ্রুপের সাথে সংঘর্ষ বেধে যায়। মারপিট ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এসময়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও ইউপি সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন ফকিরসহ তার গ্রম্নপের কামরম্নল শেখ, আজাহার শেখ, হাসমত শেখ, রেজাউল শেখ, রুহুল আমিন, শাহাবুদ্দিন আহত হয়। এসময়ে আনিস মাঝি গ্রুপের প্রধানসহ তার গ্রুপের ইউনুস মাঝি, হাসিব মাঝি হুরাইরা মাঝি আহত হয়। পুলিশ সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রম্নত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আহত ১১ জনকে উদ্ধার করে রামপাল হাসপাতারে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরম্নতর হলে তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পেড়ীখালী ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিন জানান, পরিকল্পিতভাবে আমাদের উপর হামলা করে সন্ত্রাসী আনিস বাহিনীর সদস্যরা। আনিস বাহিনীর সদস্যরা আমিসহ আম্র ৭জনকে কুপিয়েছে। কামরুলের পেটে কুপিয়ে ভূড়ি বের করে দিয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
আনিস মাঝি জানান, সাইফুলকে উদ্ধারে গেলে মেম্বার গিয়াস ও তার লোকজন আমাদের উপর হামলা করে। এ সময় তারা লোহার রড, হাতুড়ি ও রামদা দিয়ে আমিসহ আমার চারজনকে মারপিট ও কুপিয়ে গুরম্নতর আহত করেছে। রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দীন জানান, দুই গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কোন পক্ষই মামলা করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ জাতীয় আরো খবর