এশিয়া কাপের ব্যর্থতা ভুলে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চোখ বাংলাদেশের। বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে আরও একটা সুযোগ পাচ্ছে টিম টাইগার্স। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজ ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।আগেই জানা গিয়েছিল, ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে দেশের বাইরে চারদিনের বিশেষ ক্যাম্প করবে সাকিব আল হাসানরা। তবে কোথায় হবে এ ক্যাম্প সেটি নিয়ে এতদিন কাজ করছিল বোর্ড। শেষমেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতকেই বেছে নেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, আগামী ২২ সেপ্টেম্বর দেশটিতে সফর করবে বাংলাদেশ দল। সেখানে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দুটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা হবে বলেও বিসিবি সূত্রে নিশ্চিত হয়েছে সময় সংবাদ।
১৬ অক্টোবর থেকে মাঠে গড়াচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আইসিসির এই মেগা ইভেন্ট প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। এবারের আসরে বাংলাদেশ সরাসরি খেলবে আসরের মূলপর্বে। সুপার টোয়েলভে গ্রুপ-২-তে থাকা বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২৪ অক্টোবর। প্রথম রাউন্ডে গ্রুপ-এ রানার্সআপের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে আয়োজিত হবে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সেই সিরিজের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৪ অক্টোবর।এছাড়া বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে নিজেদের মানিয়ে নিতে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে টাইগাররা। আইসিসির অফিশিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে ১৭ অক্টোবর আফগানিস্তান ও ১৯ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। দুটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে গ্যাবায়।
টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ বাংলাদেশ এখন ঘুরে দাঁড়াতে চায়। ভয়ডরহীন নতুন ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলতে চায় টাইগাররা। বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন মনে করেন, হারতে হারতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে টাইগারদের। টি-টোয়েন্টিতে এর চেয়ে খারাপ করা সম্ভব নয়। এখান থেকে এবার তাই ঘুরে দাঁড়ানোর পালা।
এই সাবেক অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমরা অনেক নিচে এখন। এর চেয়ে নিচে যাওয়ার জায়গা নেই আমাদের। আমরা এখন জিততে চাই। আমি মনে করি, আমরা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নও হতে পারি। কিন্তু ওই রাস্তাটা সহজ হবে না।’
সে লক্ষ্যেই নতুন করে পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে আবার। তবে, মূলমন্ত্র থাকছে আগেরটাই। ভয়ডরহীন সাহসী ক্রিকেট। যেখানে প্রথম বলে মারতে গিয়ে কেউ আউট হলে থাকবে না কোনো ভর্ৎসনা; বরং পিঠ চাপড়ে দেয়া হবে ইনটেন্টের জন্য। এ জন্যই এবারের ক্যাম্পটা হবে যে কোনোবারের চেয়ে একটু ভিন্ন। গতানুগতিক ফিটনেস আর স্কিল ট্রেনিংয়ে সময়ক্ষেপণ না করে, ব্যক্তিগত দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হবে ক্রিকেটারদের।