রফিকুল ইসলাম, রাঙ্গাবালী পটুয়াখালীঃ ৬৫ দিনের অবরোধ শেষ হতে আর মাাত্র ক এক দিন বাকি। আর ক দিন পরেই সাগরে যাবে রাঙ্গাবালীর জেলেরা। জাল ফেলে ধরবে রুপালী ইলিশ। আয় হবে প্রচুর। ছেলেপুলে নিয়ে সুখেই দিন কাটবে তাদের। এমনটা আশা করে জাল, ট্রলার মেরামতসহ যাবতীয় সরঞ্জাম গুছিয়ে নিতে ব্যস্ত হয়ে পরেছেন তারা।
তবে কি পরিমান ইলিশ ধরা পরবে সাগরে এ নিয়ে সঙ্কাও রয়েছে তাদের।
কারন হিসেবে তারা জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু অসাধু জেলেরা আগুনমুখা, বুড়াগৌরঙ্গ, রামনাবাদসহ আশপাশের নদ নদীতে জাল ফেলে মাছ ধরার চেষ্টা করলেও ওই সব নদীতে ইলিশের দেখা পাননি তারা। এ অভিজ্ঞতার আলোকে সাগরের ইলিশ নিয়েও সন্দেহ পোষন করছেন অন্যান্য জেলেরা।
অপর দিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে কিভাবে অসাধু জেলেরা নদ নদীতে জাল ফেলছে, এ প্রশ্ন রয়েছে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকা জেলেরা। তাদের দাবী আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের ম্যানেজ করেই ওইসব জেলেরা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, যার প্রমান মিলেছে ক দিন আগে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলেসহ স্থানীয়রা জানান, ২৪ জুন রাত সারে ১০ টার দিকে আগুনমুখা নদীতে অভিযান চালায় নৌ পুলিশ। ওই সময় সুমন জোমাদ্দার ও রাজু হাওলাদারের ট্রলারসহ আটক করা হয় কয়েক জেলেকে। পরে কিছু মাছ ব্যবসায়ীদের মধ্যস্ততায় রফাদফা হয় তাদের মধ্যে এবং ছেরে দেয়ে হয় আটক করা জেলেদের।
ওই থেকেএখন পর্যন্ত ইলিশের দেখা তেমন একটা না মিললেও কদিন পর ধরা পরবে ইলিশ এমনটা আশা করছেন জেলেরা।
উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের জেলে মোঃ বাহাদুর মাঝি বলেন, ৬৫ দিনের অবোরধে আমারা অনেক ধার দেনা করেছি, এখন অবরোধ শেষ হয়েছে । আল্লাহ যদি আমাদের মুখের দিকে তাকায় ভাল মাছ পাই তাহলে ধার দেনা সোধ করতে পারবো । নাহয় ঋণের বোঝা আরো ভারি হয়ে যাবে ।
উপজেলা মৎস্য কর্তা জানান, অবরোধ শেষ হয়েছে এখন জেলেরা মাছ শিকারে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, তবে বৃষ্টি শুরু হলে বেশি ইলিশ ধরা পরবে সাগরে।