January 12, 2025, 2:51 am

বন্যায় কৃষিতে ১২৭ কোটি টাকার ক্ষতি, পুষিয়ে নিতে কৃষকদের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামে সাম্প্রতিক বন্যায় কৃষি বিভাগের ৮ হাজার ২৭হেক্টর জমির ফসলের হানি হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ দাড়িয়ে প্রায় ১২৭কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা। এ ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জেলায় ৭ হাজার কৃষককে আমন বীজতলা ও সার প্রনোদনা দিয়েছে। এদিকে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকরা নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন।
অনেক স্থানে কৃষকরা রোপা আমন ধান লাগানোয় ব্যস্ত সময় পাড় করতে দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্ট কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, জেলার ৯টি উপজেলায় ৮০ হাজার কৃষকের আমন বীজতলা ৩১২ হেক্টর, আউশ ২ হাজার ৫শ হেক্টর,পাট ৩ হাজার ৮শত হেক্টর, তিল ১১৪ হেক্টর,শাক সব্জি ১হাজার ৬শ হেক্টর,কাউন ১৮ হেক্টর, কলা ৪০ হেক্টর, ভুট্টা ৭৫ হেক্টর, মরিচ ১৫৪ হেক্টর,আদাঁ ১৪ হেক্টর ও হলুদ ১০ হেক্টর ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সদরের ঘোগাদহ ইউনিয়নের শোভনদহ গ্রামের মফিজল হক বলেন, আমরা কৃষক মানুষ। রোপা আমন ধান করার জন্য যে বীজতলা করেছিলাম এবারের বন্যায় সেগুলো তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। আবার নতুন বীজতলা করছি। কয়েক দিনের মধ্য রোপন করবো। আবার যদি বন্যা আসে তাহলে আমার সর্বনাশ হবে।
ওই এলাকার নিকিল চন্দ্র বলেন, হামরা হইছি চাষা লোক। জমি জমা আবাদ করে সংসার চলাই। কয়দিন  আগোত বানে হামার বিচন (বীজতলা) নষ্ট হইছি। যতই কষ্ট হোন না ক্যান ধার দেনা করে আবার ধান রোপন করা লাগবে। ফের বন্যা হলে আমার  মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাবে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ সামছুদ্দিন মিয়া বলেন, বন্যায় কুড়িগ্রামে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। বিশেষ করে আমন মৌসুমে কৃষকরা যাতে নির্ভিঘ্নে আমন চাষ করতে পারে এবং সঠিক সময়ে বীজতলা তৈরি করতে পারে সে অনুযায়ী মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি কৃষি বিভাগ থেকে সরকারের মাধ্যমে প্রনোদনার বীজ ও সার প্রদান করেছি। যা ইতিমধ্যে তারা মাঠে ফেলছে। কেউ কেউ চারাগুলো মাঠে লাগাচ্ছে।
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর