January 11, 2025, 11:34 pm

সংবাদ শিরোনাম
লামায়-আলীকদম অনুপ্রবেশকালে ৫৮ মিয়ানমার নাগরিকসহ ৫ দালাল আটক শিবচরে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের লিফলেট বিতরন মধুপুর উপজেলা মেম্বার ফোরামের উদ্যোগে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ সেনাবাহিনীর অভিযানে নবীগঞ্জ থেকে দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার নাটোরে ফেন্সিডিলসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার জেলে শ্রমিক থেকে হয়ে উঠলেন কোটি টাকার দালান, ট্রলার মালিক জয়পুরহাটে আওয়ামী লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি হামলা ও ভাংচুর হাজার মামুষের ভালবাসায় চির বিদায় গাজী মারুফ মধুপুরে তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত সাঘাটায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

পীরগঞ্জের খাদ্য গুদামগুলোতে ধান, চাল, গম বিক্রিতে নারাজ কৃষক ও মিলাররা!

মোস্তফামিয়া পীরগন্জ (রংপুর) প্রতিনিধি :
 গত ১৮মে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পীরগঞ্জের খাদ্য গুদামগুলোতে ধান, চাল ও গম ক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু প্রায় দেড় মাস অতিক্রান্ত হলেও পীরগঞ্জ সদরসহ ভেন্ডাবাড়ী খাদ্যগুদামে নামেমাত্র ধান ও চাল সংগ্রহ করা হলেও সংগ্রহ হয়নি এক কেজি গম। কৃষকরা জানায়, সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে চাষিরা খোলাবাজারে দাম বেশি পাচ্ছেন। তাই স্থানীয় চাষিদের খাদ্যগুদামে ধান, চাল ও গম বিক্রিতে কোনো আগ্রহ নেই।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় প্রতি কেজি ২৭ টাকা দরে পীরগঞ্জ সদরে মোট ৩হাজার ৩৭, ভেন্ডাবাড়ীতে ১হাজার ৮শত ৬৯মেট্রিক টন ধান, ৪০ টাকা কেজি দরে পীরগঞ্জে মোট ৬হাজার ৯শত ৭২, ভেন্ডাবাড়ীতে ২হাজার ২শত ৩৭ মেট্রিক টন চাল ও ২৮ টাকা কেজি দরে পীরগঞ্জে ৯৩ ও ভেন্ডাবাড়ীতে ৬০ মেট্রিক টন গম কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এদিকে ২৭ জুন পর্যন্ত মোট ধান কেনা হয়েছে পীরগঞ্জে ৩৭, ভেন্ডাবাড়ীতে ৪৬ মেট্রিক টন, আর চাল কেনা হয়েছে পীরগঞ্জে ৪হাজার ২শত, ভেন্ডাবাড়ীতে ৬শত ৭মেট্রিক টন। তবে এখন পর্যন্ত দুই খাদ্যগুদামে এক কেজি গমও কিনতে পারেনি কতৃপক্ষ।
স্থানীয় মিলাররা বলছেন, বর্তমানে সরকারি খাদ্যগুদামের নির্ধারিত দরের চেয়ে খোলাবাজারে ধান ও চালের দাম অনেক বেশি। এরপরও এলাকার তালিকাভুক্ত মিলাররা তাঁদের জামানত ও লাইসেন্স রক্ষায় কিছু পরিমাণ চাল সরবরাহ করছেন।
মিলকী গ্রামের চাষী রেজাউল ইসলাম, পান্থাপুকুর গ্রামের নজরুল ইসলাম, ঝাড়বিশলা গ্রামের লাল মিয়া জানান, কৃষকেরা ধান-গম নিয়ে গেলে গুদাম কর্তৃপক্ষ আর্দ্রতাসহ বিভিন্ন অজুহাতে তা ফেরত দেয়। এ ছাড়া গুদাম কর্মকর্তার হয়রানি ও সিন্ডিকেট চক্রের প্রভাবও বেশি। সে কারণে গোডাউনে কৃষকেরা ধান-গম বিক্রি করতে আসেন না। এবার খোলাবাজারে ধানের দাম বেশি পাচ্ছেন চাষিরা। গুদামে দিতে গেলে বস্তার দামসহ গাড়িভাড়া দিতে হয়। ফলে চাষিরা গুদামে বিক্রির আগ্রহ দেখান না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান সরকার বলেন, উপজেলায় ২২ হেক্টর জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ধান উৎপাদিত হলেও সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাজারে দাম বেশী পাওয়ায় কৃষকরা খাদ্যগুদামে ধান দিচ্ছেনা।পীরগঞ্জে গত কয়েক বছর ধরে গম চাষ কম হচ্ছে। ফলে স্থানীয় বাজারগুলোতে গমের আমদানি কম।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ সদর খাদ্যগুদামের ওসি,এল,এসডি শাহ্ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সরকারি ক্রয়মূল্যের চেয়ে বর্তমানে বাজারে ধান ও চালের দাম বেশি। সেই সঙ্গে এই এলাকায় গম চাষ কম হয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত কেউ গুদামে গম বিক্রি করতে আসেননি। ভেন্ডাবাড়ীর ওসি,এল,এস,ডি মোতাসাদ্দেকা বেগম জানান, আগামী আগস্ট পর্যন্ত আমাদের ক্রয় কার্যক্রম চলবে। তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্যগুদামে হয়রানি ও সিন্ডিকেট চক্র বলে কিছু নেই। তবে যাঁরা বিক্রি করতে আসেন, তাঁদের খাদ্যের গুণগত মান সঠিক থাকলে তা আমরা কিনে নিচ্ছি
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর