গাইবান্দা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মানছে না কেউ। অধিকাংশ শপিংমল, মার্কেট, বিপণিবিতান ও কাঁচাবাজার রাত ৮ টার পরও খোলা রাখা হয়েছে। গ্রাহকদের চাহিদা
মোতাবেক নির্বিকারে কেনাবেচা চালাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার (২০ জুন) দিনগত রাত ৯টার দিকে সাদুল্লাপুর শহরের বিভিন্ন মার্কেট ও
কাঁচাবাজারে দেখা গেছে ওইসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার চিত্র। ক্রেতারাও কিনছেন তাদের চাহিদার জিনিসপত্র।
জানা যায়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সাশ্রয়ের নিমিত্তে দোকান, শপিংমল, মার্কেট, বিপণিবিতান ও কাঁচাবাজার রাত ৮ টার পর বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছন প্রধানমন্ত্রী। গত ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ নির্দেশনা জারি করা হয়। সেটি আজ সোমবার রাত ৮টার পর থেকে বাস্তবায়ন হওয়ার কথা থাকলেও, তার বালাই নেই সাদুল্লাপুরে। এ উপজেলা শহরসহ অন্যান্য হাট-বাজারের অধিকাংশ শপিংমল, মার্কেট, বিপণিবিতান ও কাঁচাবাজার রাত ৮ টার পরও খোলা দেখা গেছে। এদিকে, সচেতন মহলের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসন কিংবা থানা পুলিশের নিরব ভূমিকার কারনে উল্লেখিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখেছে দোকানিরা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রক্ষায় দায়িত্বশীলদের তৎপড়তা না থাকায় এসব দোকান কিংবা মার্কেট রাত ৮টার পরও খোলা রয়েছে। সরকারের এই নির্দেশনা ব্যবসায়ীদের মানাতে শ্রম আইনের বিধিনিষেধ কঠোরভাবে প্রতিপালন করা দরকার।
নামপ্রকাশ না করা শর্তে সাদুল্লাপুরের হাসান সুপার মার্কেটের ও কাঁচাবাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, কবে-কখন ওই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে সেটি আমাদের জানা নেই। স্থানীয় প্রশাসন কিংবা পুলিশের পক্ষ থেকে তাগিদ থাকলে বিষয়টি মানার চেষ্টা করা হবে। খালেক মিয়া নামের এক ক্রেতা বলেন, সারাদিন কর্মে ব্যবস্তার কারনে আজ রাত ৯টার দিকে পরিবারের প্রয়োজনীয় কিছু খরচাদি করার জন্য সাদুল্লাপুরে এসেছি। একটি লুঙ্গি ও কিছু তরিতরকারি কেনাকাটা করলাম। উল্লেখিত দোকানপাট খোলা থাকার বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে সাদুল্লাপুর হাট বনিক সমিতির সভাপতি শফিউল ইসলাম স্বপন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বিষয়ে ইউএনও মহোদয়ের সঙ্গে শেয়ার করেছি। তিনি মাইকে প্রচারের ব্যবস্থা করতে চেয়েছেন। তবে মাইকিং হয়েছে কিনা সেটি আমার জানা নেই। তবে ব্যবসায়ীদের নিয়ে নির্দেশনার বিষয়টি তাদের জানানো হবে।