January 11, 2025, 4:48 pm

সংবাদ শিরোনাম

তিস্তার পানি বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার উপরে

মোঃ আফ্ফান হোসাইন আজমীর,গংগাচড়া(রংপুর)প্রতিনিধিঃ

তিস্তা নদী ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। পানি বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গঙ্গাচড়ায় মানুষকে সচেতন করতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানরা মাইকিং করছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, উজানের পাহাড়ি ঢলে সোমবার দুপুর ১২টায় তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এই পয়েন্টে বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার। তবে একই সময়ে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সতর্ক বার্তায় বলেছে, তিস্তা অববাহিকার উজানে দ্রুতগতিতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলায় বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে পারে। তাই স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে নদীর অববাহিকায় চরাঞ্চলে বসবাস করা জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে হবে। রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
এছাড়া রংপুর জেলার যমুনেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার ১ দশমিক ৬৬ মিটার ও ঘাঘট নদীর পানি ৬১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তবে গাইবান্ধায় ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, করতোয়া নদীর পানি চক রহিমপুর পয়েন্টে বিপদসীমার ১ দশমিক ৩ মিটার নিচ দিয়ে, ধরলা নদীর পানি কুড়িগ্রাম পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, তালুক শিমুল বাড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, দুধকুমার নদীর পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
লহ্মীটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, তার এলাকার মানুষ এখন দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। অনেকেই ঘর, আসবাবপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। এ পর্যন্ত ১০০ পরিবারের বসতভিটা নদী গর্ভে চলে গেছে।
তিনি বলেন, লোকজনকে সতর্ক করতে এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর