বগুড়া প্রতিনিধি:
সান্তাহারের বাজারে উঠতে শুরু করেছে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফল তরমুজ। শহরের ফলের দোকানগুলোতে তরমুজ প্রচুর পরিমাণে আসছে। বিক্রির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে বলে বলে জানান বিক্রেতারা।
সান্তাহার পৌর শহরের বাজারগুলোতে ও সড়কের পাশে তরমুজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। ফলের দোকানগুলোতে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে।
গ্রীষ্মকালীন একটি জনপ্রিয় ফল তরমুজ। এটি শুধু শীতল কারক, তৃষ্ণা নিবারক ও প্রশান্তি দায়কই নয়, চিকিৎসকদের মতে তরমুজে সাইট্রুলিন নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদন করে যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। টিউমারের বৃদ্ধি হ্রাস করে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় এবং এর বিটা ক্যারোটিন হৃদযন্ত্রের শক্তি ও কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। হার্ট এ্যাটাক ও ষ্ট্রোক প্রতিহত করে। এতে বিদ্যমান পটাশিয়াম ফ্লুরিড ও মিনারেলের ভারসাম্য ঠিক রাখে, মাংস পেশীর অতিরিক্ত সংকোচন দূর করে। এটি ফুসফুস, যকৃৎ কিডনি, ও পাকস্থলীকে শক্তিশালী করে। পেপটিক আলসার সৃষ্টিতে বাধা দেয় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
সান্তাহার রেলগেটের তরমুজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম রাঙ্গা জানায়,বর্তমানে বাজারে পতেঙ্গা, কুয়াকাটা বরিশালসহ বিভিন্ন জেলার মোকাম থেকে কালো ও বাংলা লিংক জাতের এই তরমুজ কিনে আনছেন তারা।
ওই ব্যবসায়ী আরও জানান, প্রতিবছর এই মৌসুমি ফলের ব্যবসা করি। এ অঞ্চলে তরমুজের আবাদ তেমন হয় না। কয়েকটি এলাকাতে আবাদ হলেও এই সময়ে বাজারে আসে না। আমরা বরিশাল থেকে তরমুজ নিয়ে এসে বিক্রি করি। এর স্বাদ ভালো থাকায় বাজারে চাহিদা আছে। বেশ কয়েদিন ধরে বিক্রি করছি। বেচাকেনা এখনও সেভাবে জমে ওঠেনি। তবে রমজান মাসে বেচাকেনা জমে উঠবে।
মাখলুক হোসেন মুন্না
আদমদীঘি বগুড়া