ডিটেকটিভ ডেস্কঃঃ
দেশে প্রাণঘাতী মহামারি করোনা ভাইরাসে আরো ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১২২ জন। মহামারি করোনা ভাইরাসে নতুন ধরন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের রোগী শনাক্তের খবর আসার পরে দেশে নতুন কোভিড রোগী কমেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ নিয়ে দেশে করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ৪৭ জনের মৃত্যু হলো। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে মোট ১৫ লাখ ৮০ হাজার ৮৭২ জন।
এর আগে সবশেষ ২৪ অক্টোবর ৩১২ জন কোভিড রোগী শনাক্তের খবর এসেছিল, তারপর থেকে এক দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা তিনশর নিচে।
শনিবার ১১ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ ধরা পড়ার খবর আসে। এদিন ১৭৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত এবং মৃত্যু হয় পাঁচজনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৯৭১ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১২২ জনের। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার বেড়ে ০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। সুস্থ হয়েছেন আরো ১৪৪ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ ১৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪০৩ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এই ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় চলতি বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
মহামারী শুরুর ওই পর্যায়ে দৈনিক মৃত্যু ০, ১, ৩ এর মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। ১৫ দিন পর ৩ এপ্রিল কোনো মৃত্যুর খবর ছিল না। তারপর মৃত্যুর সংখ্যা দিনকে দিন বাড়তে থাকে।
চলতি বছর জুলাই-অগাস্টে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ পায়। ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের ওই সময়টায় প্রতি পাঁচ দিনে মৃত্যুর তালিকায় ১ হাজার নতুন নাম যোগ হচ্ছিল। সেপ্টেম্বর থেকে সংক্রমণ কমতে শুরু করলে মৃত্যুর গ্রাফও নেমে আসে।
শীতের শুরুতে ইউরোপ-আমেরিকায় নতুন করে সংক্রমণ ও মৃত্যুর বাড়ছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন দেশে। তবে বাংলাদেশে পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে।
//ইয়াসিন//