ডিটেকটিভ ডেস্কঃঃ
সাভার ও নারায়ণগঞ্জ সদরসহ ৯ উপজেলায় ডিজিটালে ভূমি উন্নয়ন কর দেয়া শুরু হলো আজ থেকে। এতে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে বসে অনলাইনে দেয়া যাবে কর। ২০২১ সালের পয়লা জুলাই এর আওতায় আসবে সারা দেশ। এতে আধুনিক সেবা নিশ্চিতের পাশাপাশি দুর্নীতি কমবে বলে আশাবাদী ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। সচিবালয়ে সফটওয়্যার পাইলটিংয়ের কাজ উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন তিনি।
সারা দেশেই ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয় সনাতন পদ্ধতিতে। এতে সুযোগ থাকে দুর্নীতির। হয় সময়-অর্থের অপচয়। এই ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে আসতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
প্রাথমিক ভাবে ঢাকা, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, চট্টগ্রাম, জামালপুর ও চাঁদপুরের ৯ উপজেলায় এখন কর দেয়া যাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। পর্যায়ক্রমে এ সুবিধা মিলবে সারা দেশে। আগামী বছরের পয়লা জুলাইয়ের পর সনাতন পদ্ধতি আর থাকছে না।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া উপজেলার পাটগাতি ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ঢাকার সাভার উপজেলার বাগধনিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস, মানিকগঞ্জ সদরের মানিকগঞ্জ পৌর ভূমি অফিস, চট্টগ্রামের আনোয়ারার খাসখামা ইউনিয়ন ভূমি অফিস এবং কিশোরগঞ্জ সদরের কিশোরগঞ্জ পৌর ভূমি অফিস এই পরীক্ষামূলক সফটওয়্যারের আওতায় থাকছে।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জ সদরের নারায়ণগঞ্জ সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস, জামালপুর সদরের জামালপুর পৌর ভূমি অফিস, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ফরিদগঞ্জ পৌর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস (শুধুমাত্র পৌর অংশে পাইলটিং হবে) এবং চাঁদপুরের মতলবের মতলব পৌর ভূমি অফিসেও পরীক্ষামূলক এ কার্যক্রম চলবে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ভূমি সংস্কার বোর্ড এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
ভূমি উন্নয়ন ও সেবা কার্যক্রমে দুর্নীতির কথা স্বীকার করে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জানান, জনসেবা সংক্রান্ত মন্ত্রণালয় হওয়ায় সেখানে দুর্নীতি বেশি। আর তা নিরসনেই সব কিছু ডিজিটাল করা হচ্ছে। এতে গ্রাহক হয়রানির পাশপাশি ভূমি অফিসের অনিয়মও কমবে।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, এখন যে কোনো সময়, যে কোনো জায়গা থেকে ভূমি উন্নয়ন কর সংক্রান্ত তথ্য দেখার পাশাপাশি তা পরিশোধ করা যাবে। ফলে সময় ও যাতায়ত খরচ বাঁচবে।
নতুন এ উদ্যোগে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলেও জানান ভূমিমন্ত্রী। বলেন, ঘরে বসে ভূমি সংক্রান্ত সব সেবা যেন গ্রাহক পায় তা নিশ্চিতেও কাজ চলছে।
২০২১ সালের জুলাই মাসের মধ্যে সারা দেশে অনলাইনে ভূমি কর দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করা যাবে বলে আশা করছেন ভূমিমন্ত্রী।