December 24, 2024, 8:30 am

সংবাদ শিরোনাম
ঢাকা সিটির সাংবাদিকদের নিয়প আলোচনা সভা গৌরনদী মডেল থানায় বরিশাল জেলার বিদায়ী পুলিশ সুপারকে বিদায়ী সংবর্ধনা জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে গৌরনদীতে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে অসামাজিক কাজে জরিত থাকার অভিযোগে নারী সহ আটক-৩। টঙ্গি ইজতেমার মাঠে হামলার প্রতিবাদ খুনিদের বিচার ও কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবীতে হিলিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে গৌরনদীতে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে ধানক্ষেত থেকে শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার দিনাজপুরে “গমের জাত উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তায় স্পীড ব্রীডিং-এর ভুমিকা” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়, পুলিশ ও জনগণ একে অন্যের পরিপূরক-রেজাউল করিম মল্লিক দলের পরিবর্তন হয়েছে চরিত্রের পরিবর্তন হয়নি শায়খে চরমোনাই মুফতি ফয়জুল করীম

সরকার আবারও ২০১৪ সালের মতো দমনপীড়ন শুরু করেছে: মির্জা ফখরুল

সরকার আবারও ২০১৪ সালের মতো দমনপীড়ন শুরু করেছে: মির্জা ফখরুল

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

বিএনপিকে নির্বাচন থেকে সরাতে সরকার আবারও ২০১৪ সালের নির্বাচনের মতো দমনপীড়ন শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলটির মহাসচিব বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনসহ দলের তৃণমূল নেতাকর্মী পর্যন্ত সবার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে। বিএনপির চেয়ারপারসনকে সাজা দেওয়া হবে, সরকারের একজন প্রতিমন্ত্রী এমন ঘোষণাও দিয়ে দিয়েছেন। অথচ আদালত অবমাননার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা হচ্ছে না। মির্জা ফখরুল বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সপ্তাহে তিন দিন আদালতে হাজির করা হচ্ছে, যা নজিরবিহীন নির্যাতন। বিএনপি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে এর জবাব দেবে বলেও হুঁশিয়ার দেন তিনি। এ সময় বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের মাঠ সমান্তরাল করার জন্য অবশ্যই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। এ ছাড়া পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেও নির্বাচন দিতে হবে। খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার বিষয়টি সরকার আগেই ঠিক করে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নয় বছর আগে দুদকের দায়ের করা এ মামলায় দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান আগামি ৮ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিন রেখেছেন। একই আদালতে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি চলছে। সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, যিনি সরকারের বিশেষ দূত- হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে যেতে হবে। তাহলে দেশনেত্রীর মামলার রায় কি পূর্ব নির্ধারিত? এই অবৈধ সরকার পূর্বেই রায় লিখে রেখেছেন। তাহলে এই বিচারের প্রহসনের তো কোনো প্রয়োজন ছিল না। বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে যে আইনের শাসন নেই, ন্যায়বিচার সূদূর পরাহত সেটাই প্রমাণিত হচ্ছে। বিচার হবে- প্রধানমন্ত্রী যা চাইবেন তাই। এখন পর্যন্ত তার (এরশাদ) এই বক্তব্য যে আদালত অবমাননার সামিল, তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ফখরুল বলেন, সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলের প্রধান, তিনবার নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য ২৪টি মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তার মধ্যে দুইটি মামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। সপ্তাহে তিনদিন দেশনেত্রীকে আদালতে হাজির হওয়ার নজিরবিহীন নির্যাতন, তারিখে তারিখে জামিন দেওয়ার নজিরবিহীন আদেশ- সমগ্র বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এটা এখন স্পষ্ট- নজিরবিহীন দ্রুততার সাথে মামলা শেষ করার প্রচেষ্টা প্রমাণ করে এই সরকার বেগম জিয়াকে ভয় পায়। ভয় পায় বলেই তাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চায়। আমরা সরকারের এহেন প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। নির্বাচনী মাঠ সমান্তরাল করতে দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৫০ হাজার মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি। ফখরুল বলেন, ২০০৭ সাল থেকে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলার সংখ্যা ৫০ হাজার ৭৪টি। আসামির সংখ্যা ১১ লাখ ৯১ হাজার ৪৪৯ জন। খুন হয়েছেন ৭৭৩ জন। গতবছরের ২০ ডিসেম্বর থেকে এ বছরের ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের সাত বিভাগে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার পরিসংখ্যান তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, একমাস দুইদিনে মোট মামলা হয়েছে ৫২৮টি, আসামির সংখ্যা ২৪ হাজার ৭০৭ জন। গ্রেফতার ১৫১৯, গুম একজন, খুন একজন। আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, এই অবস্থার প্রেক্ষিতে নির্বাচনের সমান্তরাল মাঠ হতে পারে না। সুতরাং নির্বাচন করতে হলে, অবশ্যই মাঠকে সমান্তরাল করতে হলে, বিরোধীদলের সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অবিলম্বে গ্রেফতার, ক্রসফায়ার, হত্যা-গুম বন্ধ করতে বলছি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি। অজ্ঞতনামা আসামির নাম দিয়ে পুলিশের গ্রেফতার বাণিজ্য চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুল হাই, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর