কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) থেকেঃ
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়নের কঠুরাকান্দি গ্রামে প্রেমিকা বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় আশিক রানা (১৯) নামে এক কলেজ ছাত্র প্রেমিকার বাড়িতে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। শনিবার (১৫.০৮.২০২০) সকাল ১০টায় শরীফ হারুণ-অর-রশীদের দোতলা বাড়ির একটি রুম থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ। আশিক রানা সৌদি প্রবাসী আলমগীর শেখের ছেলে এবং ফরিদপুর মুসলিম মিশন কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তার হারুন-অর-রশীদের ৮ম শ্রেণি পড়–য়া মেয়ে মারিয়ার সাথে প্রেম ছিল বলে এলাকাবাসী জানায়। অপরদিকে আশিকের পরিবারের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মারিয়াসহ পরিবারের ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করে। নিহত আশিক রানার চাচা আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, রাতে খবর পেয়ে হারুন শরীফের বাড়িতে গিয়ে দোতলা বিণ্ডিংয়ের পুকুর পাড়ের একটি নির্জন রুমে আমার ভাতিজার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই। হারুন শরীফ পূর্বশক্রুতার জের ধরে আমার ভাতিজা আশিক রানাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশটি ঝুলিয়ে রাখে।’শরীফ হারুন-অর-রশীদ হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার মেয়ে মারিয়ার সাথে আশিক ফোনে আগেপরে কথা বলতো বলে জেনেছি। ওইদিন আমার স্ত্রী বাসায় না থাকার সুযোগে আশিক আমার মেয়ের সাথে দেখা করতে আমার বাড়িতে যায়। কথাবার্তার একপর্যায়ে আশিক মারিয়াকে গোপনে বিয়ের কথা বলে মাগুরা যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। মারিয়া গোপনে বিয়ে ও মাগুরা যেতে অস্বীকার করলে আশিক আত্মহত্যার হুমকি দেয়। একথা শুনে মারিয়া নিজের রুম থেকে অন্য রুমে চলে যায়। পরবর্তীতে ভেতর থেকে রুমের দরজা বন্ধ করে গলায় গামছা বেধে আত্মহত্যা করে আশিক।’
আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রেজাউল করিম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করেছি এবং সুরতহাল রির্পোট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুরে পাঠানো হয়েছে। রির্পোট পাওয়ার পর জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১৫ আগষ্ট ২০২০/ইকবাল