মাত্র কযেক দিনের ব্যবধানে শংকরদহ গ্রাম নদীগর্ভে চলে যাওযায় দুখ প্রকাশ করে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ ও রংপুর ১ গঙ্গাচড়া আসনের এমপি বলেছেন, স্থানীয়রা এখানে ২০ হাজার জিওব্যাগ ফেলার দাবি তুলেছিলেন। কিন্তু পর্যাপ্ত জিও ভ্রাগ ফেলা হয় নি। সেকারণে অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।স্থানীয় চেয়ারম্যান সাহেব ডিসির কাছে লিখিভ আবেদনও করেছিলেন। কিন্তু তিনি কেন পর্যাপ্ত জিওব্যাগ ফেলানোর চেস্টা করেন নি, কারণ সেসময় আমি এখানে ছিলাম না।তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার। কারণ বহু মানুষ একারণে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। গতকাল সকালে গঙ্গাচড়ার লক্ষিটারীর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া শংকরদহ গ্রাম এবং রাস্তা ভেঙ্গে ভাঙ্গনের কবলে পশ্চিম ইচলিসহ পাঁচটি গ্রাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন। এসময় তার সাথে ছিলেন গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমা বেগম, ওসি সুশান্ত সরকার, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদি, এমপি কন্যা মালিহা তাসনিম জুঁই, ছাত্রসমাজের উপজেলা সভাপতি নুরুল হুদা নাহিদ প্রমুখ।সাবেক প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গা আরও বলেন, আমি যে ভিটায় দাড়িয়ে কথা বলছি সেখানেও খর গোবর। সম্ভবত গরু ছিল। বসত ছিল। এখন নেই। কয়েকদিনের ব্যবধানে ৫/৬শ মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়া হওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। যদিও এবার ভারতের থেকে যে পানি টা আসছে, আমাদের তো অভিন্ন নদী ৫৪ টি নদীতেই পানি অনেক বেশি। হঠাৎ করে এই পানি টা আসার কারণেই মানুষ পূর্বথেকে সতর্কতা গ্রহণ করতে পারে নাই। এমপি রাঙ্গা আরো বলেন, ভারত থেকে নেমে আসা বালুর কারণেই ভরাট হয়ে গেছে তিস্তা। ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে তিস্তা নদী সংস্কার করতে না পারলে নদী তীরবর্তি মানুষকে ভাঙ্গন ও প্লাবনের হাত থেকে রক্ষা করা যাবে না। এজন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।তিনি বলেন, প্রয়োজনে চীন থেকে ছোট ছোট ড্রেজার এনে খনন শুরু করে দিতে হবে। তা না হলে নদী পাড়ের মানুষ জীবন জীবিকা নিশ্চিত করা যাবে না। আমি এমপি থাকাকালীন সময়েই এলাকার ভাঙ্গন রোধে বাম তীরে নদী প্রটেকশনের কাজ করে দিয়েই যাবো ইনশাআল্লাহ।পরে তিনি বন্যা দুর্গত মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ত্রানের চাল তুলে দেন।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/৩আগষ্ট ২০২০/ইকবাল