ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় রবিবার(১৫.০৯.১৯) সকাল ১১টার দিকে দলিল লেখক,মো. আইয়ুব আলী মৃধা দলিল করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়ে পালিয়ে রক্ষা পেয়েছে। দলিল নং ১৮৩২, আইয়ুব আলীর বাড়ি চরনারানদিয়া গ্রামে। জানা যায় ওইদিন সকালে কুসুমদি গ্রামের নেপাল কুন্ডুর মেয়ে আবা রান কুন্ডু জমি বিক্রি করে বানা গ্রামের শিল্পি রানী দাসের কাছে। জমির গ্রহিতা শিল্পি রানী বলেন ১২ লক্ষ টাকায় আমি জমিটি ক্রয় করি,এবং দলিল লেখার খরচ বাবদ ১ লক্ষ ৮০হাজার টাকা দলিল লেখক আইয়ুব আলীকে প্রদান করি।আদালতের নির্দেশে তার লাইসেন্স স্থগিত আমার জানা ছিলো না।সেই জমি ওই দলিল লেখক রোববার দলিল লেখে সাব-রেস্ট্রারের কাছে নিয়ে গেলে দলিল লেখক সমিতির লোকজন বাধা দেয় এবং অবরুদ্ধ করে। পরে লোকজন জড়ো হলে সেখান থেকে ওই দলিল লেখক পালিয়ে যায়। আরও জানা যায় আইয়ুব আলী মৃধা আলফাডাঙ্গায় দলিল লেখক লাইন্সেস করেন। কিন্তু বোয়ালমারী দলিল লেখক সমিতির লোকজন হাই কোর্টে রিট করেন। রিট করার পর সকল ওই লাইন্সেস স্থগিত হয়ে যায়। পরে তাদের লাইন্সেস আবার নবায়ন করা হয়। পুনরায় ২০১৮ সালে বোয়ালমারী দলিল লেখক সমিতির নির্মল কুমার দাস বাদি হয়ে আবার হাই কোর্টে রিট করেন। রিট করার পর তার লাইন্সেস স্থগিত হয়ে যায়। দলিল লেখক সমিতির সভাপতি শাহাদৎ মুন্সি বলেন, তার লাইন্সেস বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। সে দলিল লেখতে পারবে না। যদি সে দলিল লেখে তা হলে সরকারী আইন অমান্য করা হবে। এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রার সরমিলা আহমেদ সম্পা বলেন, আমার কাছে দলিল যেই আনুক আমি দেখি তার কাগজপত্র ঠিক আছে কি না। আইয়ুব আলী মৃধার লাইন্সেস স্থগিত কি না তা আমার জানা নেই। তার লাইন্সেস স্থগিত থাকে তা হলে এই অপরাধের জন্য আমি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯/ইকবাল