ইরানের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ ট্যাংকার জব্দের চেষ্টার অভিযোগ
ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইরানের কিছু নৌকা উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে যুক্তরাজ্যের একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্রিটিশ সরকারের এক মুখপাত্র। ব্রিটিশ রয়্যাল নেভির একটি যুদ্ধজাহাজ এসে পরে ইরানি ‘দখলদার’ নৌকাগুলোকে হটিয়ে দেয় বলেও ওই মুখপাত্র জানান। নাম প্রকাশ না করে ওই মুখপাত্রের বরাতে বিবিসি জানায়, রয়্যাল নেভির এইচএমএস মনট্রোজ জাহাজটি প্রথমে ইরানের নৌকাগুলোকে ফিরে যাওয়ার জন্য মৌখিকভাবে সতর্কবার্তা জানায়। কিন্তু এতে সেগুলো ফিরে না যাওয়ায় যুদ্ধজাহাজটি ‘ব্রিটিশ হেরিটেজ’ নামক ওই ট্যাংকার এবং ইরানের নৌকাগুলোর মাঝখানে এসে অবস্থান নেয়। মনট্রোজ এরপর জাহাজের কামান তাক করে আরেক দফা হুঁশিয়ারির কিছুক্ষণ পর ফিরে যায় ইরানি নৌকাগুলো। ইরানের এই ধরনের কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলেও দাবি করেছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, উপসাগরীয় অঞ্চলে নিযুক্ত সংশ্লিষ্ট মার্কিন কর্মকর্তাদের ধারণা, ওই নৌকাগুলো ইরানের বিশেষ সশস্ত্র বাহিনী ইরানিয়ান রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পসের। ব্রিটিশ হেরিটেজ হরমুজ প্রণালি দিয়ে উপসাগর এলাকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় নৌকাগুলো তাকে বাধা দেয়। গত ৪ জুলাই ব্রিটিশ রয়্যাল মেরিনের ৪২ কমান্ডো বাহিনীর ৩০ মেরিন সেনাকে যুক্তরাজ্য থেকে আকাশ পথে জিব্রাল্টার নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের সহায়তায় জিব্রাল্টারের কর্মকর্তারা ‘গ্রেস ১’ নামে ইরানের একটি সুপার ট্যাংকার জব্দ করে। যুক্তরাজ্যের দাবি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ট্যাংকারে করে সিরিয়ায় তেল পাঠাচ্ছিল ইরান। তবে এই দাবির পক্ষে কোনো জোরালো প্রমাণ দেখাতে পারেনি যুক্তরাজ্য। জব্দ ওই তেলের ট্যাংকার ফিরিয়ে না দিলে ব্রিটেনেরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করা হবে বলে হুমকি দিয়েছিল তেহরান। ওই হুমকির বাস্তবায়নের জন্যই বৃহস্পতিবারের এই চেষ্টা বলে দাবি করছে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।