কতিপয় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী যথা: চাউল,আটা, চিনি, সয়াবিন তেল, ছোলা, খেজুর ইত্যাদি পণ্য সামগ্রী ভোক্তা সাধারণের নিকট সরকারিভাবে ন্যায্য মূল্যে বিক্রয় ও সরবরাহের নিমিত্তে নিয়োজিত, রংপুর অঞ্চলের টিসিবি ডিলারদের অনেকে লাপাত্তা। সরকারি দলের লোক বিবেচনায় নিয়োজিত এসব ডিলার, সরকার পতনের সাথে সাথে নিজেরাই আত্মগোপন চলে গেছেন। আর ডিলারদের কাজগুলো করছেন তাদের কর্মচারীরা। ফলে অনেক পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে চলছে লুকোচুরি কারবার।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রংপুর জেলার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওএমএস চাল আটাসহ টিসিবি পন্যের বিক্রেতা ডিলারদের পণ্য সামগ্রী বিক্রির গাড়ীর সামনে ভোক্তা ও ডিলারের লোকজনের সাথে ঝঁগড়াঝাঁটি এখন প্রতিদিনের ব্যাপার।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তর সূত্রে জানা গেছে,রংপুর জেলায় নিয়োজিত টিসিবি ডিলারদের মধ্যে অনেক ডিলার পলাতক। তাই তাদের লোকজন দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করায়, কিছুটা অচলাবস্হার সৃস্টি হয়েছে।
রংপুর জেলার মাহিগঞ্জ এলাকার বড় রংপুর গ্রামের আঙ্গুর মিয়া দিন মজুর জানান, আমাদের আয় ইনকাম কম,আবার প্রতিদিন কাজ হয় না। ৩ সন্তানসহ ৫ জনের সংসার। টিসিবি থেকে চাউল আটা না পেলে, উপাস করা ছাড়া উপায় থাকে না। তিনি বলেন, সরকারিভাবে চাল ও আটা কিনে আগে এক সপ্তাহ পার করতাম। কিন্তু গত মাস থেকে ডিলার না থাকায়,ডিলারের লোকজন তাদের ইচ্ছামত চাউল, আটা দেন। আমাদের চাহিদামত কোন কিছুই দেন না। ডিলার না থাকায়,অভিযোগ করাও যাইতেছে না। বাজারে চালের দাম অনেক বেশি হাওয়ায়, বিপাকে পড়েছেন শ্রমিক শ্রেণীর লোকেরা।
সাংবাদিক পরিচয় যেনে,অন্য ভোক্তারা আরো বলেন, জেলা প্রশাসক টিসিবি ডিলারদের নিয়ন্ত্রণ করেন, তারা বাস্তব অবস্থা জেনে, নতুন করে ডিলার নিয়োগ দিলে সাধারণ ভোক্তারা উপকৃত হবেন।