October 11, 2024, 4:29 am

সংবাদ শিরোনাম
শ্রীমঙ্গলের রিসোর্ট থেকে অতিরিক্ত সচিবের মৃতদেহ উদ্ধার রংপুরে দলীয় পরিচয়ে নিয়োগ পাওয়া টিসিবি ডিলারদের অনেকেই পলাতক থাকায়,পণ্য বিক্রয়ে অচলাবস্থা নাটোরের বাগাতিপাড়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু বাংলাদেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থা সংশোধন করিতে হবে – পর্ব ৯ আসন্ন শারদীয়া দুর্গাপূজা শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রশাসন ও জনগণের প্রীতি আহ্বান – পর্ব ৮ প্রশাসন সংস্থা ব্রিটিশ আইনের মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থা চলতে পারে না-পর্ব ৭ মাতৃভূমির এক ইঞ্চি জমি ছাড় দেওয়া হবে না, পর্ব ৬ স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪)

নিজের পোশাকে আগলে নিয়েও মেয়েকে বাঁচাতে পারেননি বাবা

নিজের পোশাকে আগলে নিয়েও মেয়েকে বাঁচাতে পারেননি বাবা

ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মেক্সিকোর নদীতে ভেসে ওঠা এক অভিবাসন প্রত্যাশী ও তার মেয়ের ছবি দেখে আরও একবার থমকে গেছে বিশ্ব। পৃথিবীর সামনে আরও একবার ফুটে উঠেছে অভিবাসন সংকটের ভয়াবহতা। ওই ছবিতে দেখা যায়, অস্কার আলবের্তো মারটিনেজ রামিরেজ নামের ওই অভিবাসীর কাঁধ জড়িয়ে আছে তার ২৩ মাস বয়সী মেয়ে ভ্যালেরিয়া। বাবার টি-শার্টের ভেতরেই নিথর হয়ে আছে মেয়ের দেহ। নদীর ঢেউ যেন মেয়েকে টেনে না নিয়ে যায় সেজন্য তাকে এভাবেই আঁকড়ে ধরে ছিলেন বাবা মার্টিনেজ। কিন্তু তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি। প্রাণ হারাতে হয়েছে দুজনকেই।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে এসব কথা জানিয়েছেন ছবিটি ক্যামেরায় ধারণ করা সাংবাদিক জুলিয়া লি ডাক। গত কয়েক মাসে ব্যাপক হারে বেড়েছে মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশ। সর্বশেষ গত সোমবার জলে ভেসে আসা এল সালভেদরের এক অভিবাসী ও তার মেয়ের পানিতে ভেসে আসা নিথর মরদেহের ছবি ভাবিয়ে তোলে সবাইকে। সবার চোখের সামনে যেন ভেসে উঠেছে সিরীয় শিশু আয়লান কুর্দির নিথর দেহ। চলতি সপ্তাহেই শিশুসহ আরও তিনজন অভিবাসন প্রত্যাশী প্রাণ হারিয়েছেন। শিশুটির মায়ের সঙ্গে কথা বলে এই ছবির পেছনের গল্প শুনিয়েছেন জুলিয়া।  জুলিয়া গার্ডিয়ানকে জানান, তিনি অনেকদিন ধরেই অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিকতা করেন। ‘আমি এমন অনেক মরদেহ দেখেছি, অনেক ডুবে যাওয়া লাশ দেখেছি। রিও ব্রাভোর স্রোত অনেক শক্তিশালী, এখানে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে। কিন্তু এই ঘটনাটি এমন কিছু, যা দেখে আমিও চমকে গেছি। বাবা তার মেয়েকে নিজের টিশার্টের ভেতরে ঢুকিয়ে নিয়েছিলেন। মেয়েকে বাঁচানোর সর্বশেষ চেষ্টা করে গেছেন তিনি।’ জুলিয়ার প্রশ্ন, এই ভয়াবহতার পরও কি কিছু পাল্টাবে। এই পরিবারের কিছুই নেই। একটু ভালো জীবনের আশায় তার সবকিছু বাজি রাখছেন। এমন দৃশ্যের পরও কি আমরা নতুন করে ভাববো না। এর পরেও যদি নীতিনির্ধারকরা বিচলিত না হন তবে বলতে হবে আমাদের সমাজের পরিণতি খুব খারাপ। চলতি বছর এখন পর্যন্ত লিও গ্রান্দে পাড়ি দিতে গিয়ে অনেক অভিবাসীর মৃত্যু হয়ছে যা বিগত ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলে নিয়ে প্রায়ই অনেক কথা হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তবর্তী উত্তরাঞ্চলেও এমন সংকট রয়েছে। জুলিয়া বলেন, আমি প্রতিদিনই এমন দৃশ্য দেখি। এই পরিবারগুলো যে কোনও কিছুর জন্য তৈরি থাকে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর