June 17, 2025, 9:55 am

সংবাদ শিরোনাম
২০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য লন্ডনী স্ত্রীকে গরম খুন্তি দিয়ে পুড়িয়ে চ্যাকা” ২ আসামীকে সেনাবাহিনী ধরলেও,ছেড়ে দিয়েছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে এখনও প্রকাশ্যে ঘুরছে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা মাদারীপুরের শিবচরে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত বামনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করছেন অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশীদ হাওলাদার বজ্রপাতে বেনাপোল স্থলবন্দরের শ্রমিকের মৃত্যু জাম পাড়তে গিয়ে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে নবীগঞ্জের অলি’র মৃত্যু মাদারীপুরে নিখোঁজের ১৭ দিন পর পাটক্ষেত থেকে মরদেহ উদ্ধার মাদারীপুরের শিবচরে বাসস্ট্যান্ডে ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে ফিরছে দক্ষিনাঞ্চলের ২১ জেলা মানুষ বেনাপোলের রঘুনাথপুর সীমান্ত এলাকা থেকে স্বামী স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ডাসারে কপোত-কপোতীকে জিম্মি করে চাঁদা দাবি, গ্রেফতার ১

রেলওয়েতে বিপুল বিনিয়োগেও এখনো বাড়েনি ট্রেনের গতি

রেলওয়েতে বিপুল বিনিয়োগেও এখনো বাড়েনি ট্রেনের গতি

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

শের রেল খাতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করা হয়েছে। সম্প্রতি ভৈরব ও তিতাস নদীর ওপর প্রায় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দুটি রেলসেতু উদ্বোধন করা হয়েছে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওই রুটে চলাচলকারী সব ট্রেনের গতি বাড়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। ওসব সেতু চালুর পরও টাইমটেবিল সংশোধন না করায় মাত্র একটি ট্রেনের সময় কমেছে। বাকি সব ট্রেনেই চলছে আগের সময়ে। রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, টঙ্গী-ভৈরববাজার ডাবল লাইন চালুর সময় সব রেলওয়ে ধরনের ট্রেনের সময় কিছুটা কমিয়ে আনে। ওই সময়ই রেল কর্তৃপক্ষ ভৈরব ও তিতাস সেতুর কাজ শেষ হলে ট্রেনের পরিচালন সময় আরো ১০-১৫ মিনিট কমিয়ে আনার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু রেলের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রকৌশলীদের মতে, পুরনো সেতুতে এর আগে ৪৮ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতো। সেতুগুলো সিঙ্গেল লাইনের ও দীর্ঘদিনের পুরনো হওয়ায় সেতুতে প্রবেশের কয়েক কিলোমিটার আগেই ট্রেনের গতি কমিয়ে আনতে হতো। ফলে প্রায় দুই কিলোমিটারের সেতু পেরোতে ট্রেনের সময় ব্যয় হতো অনেক বেশি। নতুন দুটি সেতু চালু হওয়ার পাশাপাশি সেতুতে প্রবেশে ডাবল লাইনের কারণে সেতুর ওপর সর্বোচ্চ ৭০ কিলোমিটার ও সেতুতে প্রবেশের আগে ডাবল লাইনে প্রায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। কিন্তু সেতু দুটি চালু হওয়ার এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ট্রেনের গতি বাড়ানোর কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি।

সূত্র জানায়, কর্তৃপক্ষ চাইলে আরো আগেই বিভিন্ন ট্রেনের পরিচালন সময় কমানো সম্ভব ছিল। কিন্তু শুধুমাত্র টাইম টেবিলের অজুহাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের পরিচালন সময় কমাতে অনীহা দেখাচ্ছে রেলওয়ে। প্রতি বছর এপ্রিলে টাইম টেবিল সংশোধনের কথা থাকলেও তাতে কয়েক মাস বিলম্ব হয়। বিগত ২০১৬ সালের মাঝামাঝিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের বেশকিছু ট্রেনের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়। তখন ওই রুটের বিশেষায়িত নন-স্টপ ট্রেন সুবর্ণ ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের সময় কমিয়ে ৫ ঘণ্টা ১০ মিনিটে নামিয়ে আনা হয়। সেসময় রেল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছিল- ভৈরব ও তিতাস সেতু চালু হলে ট্রেনগুলোর সময় আরো ১০ মিনিট কমিয়ে আনা হবে। পাশাপাশি পূর্বাঞ্চলের অধিকাংশ ট্রেনের সময় কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। এমনকি সেতু প্রকল্পের কার্যকারিতার ঘোষণাপত্রেও ওই রুটে প্রায় সব ট্রেনের সময় ন্যূনতম ১০ মিনিট কমে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল।

সূত্র আরো জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-নোয়াখালীসহ পূর্বাঞ্চলীয় জোনে সরাসরি রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করতে ১৯৩৭ সালে মেঘনা নদীতে প্রথম সেতু নির্মিত হয়। দীর্ঘ ৮০ বছর পর ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ডাবল লাইন নির্মাণের সুফল তুলতে দ্বিতীয় ভৈরব সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। পুরনো ও নতুন দুটি সেতু দিয়েই ট্রেন চলাচল করবে। একটি দিয়ে ডাউন ট্রেন, অন্যটিতে আপ ট্রেন চলাচল করবে। সেতুগুলো যাতে ডুয়াল গেজ হিসেবে ব্যবহার করা যায়, এজন্য সেতুর ওপর ডুয়াল রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক ও সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. আবদুল হাই জানান, পুরনো টাইম টেবিলের কারণে এখনই সব ট্রেনের রানিং সময় কমানো সম্ভব হচ্ছে না। পরিচালন সময় কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সিঙ্গেল লাইনের কারণে দুই সেতুর উভয় পাশে যে সময়ক্ষেপণ হতো, তা দূর হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের ট্রেনগুলোর পরিচালন সময় কমানোর বিষয়েও কাজ শুরু করেছে রেলওয়ে। এর মধ্যে বিরতিহীন দুটি ট্রেনের সময় ৫ ঘণ্টা ১০ মিনিট থেকে কমিয়ে ৪ ঘণ্টা ৫০ মিনিটে নামিয়ে আনার প্রস্তুতি চলছে। আগামি বছরের প্রথম দিকে নতুন টাইম টেবিল কার্যকরের পরিকল্পনা রয়েছে রেলওয়ের।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর