September 21, 2024, 9:28 am

সংবাদ শিরোনাম
দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফর রহমান মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বন্ধে কুড়িগ্রামে জলবায়ু ধর্মঘট খুলনা দৌলতপুর রেলস্টেশন ও মহসিন মোড় কাঁচাবাজারে এলাকাবাসীর উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান সংসার রেখে ডলিতে আসক্ত কয়েছ৷ বিয়ে ছাড়াই এক সাথে বসবাস ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে তিন লাখ জাল টাকা এবং জাল টাকা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদিসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ যশোরের সাবেক এসপি আশরাফুল সহ ১০ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা কুড়িগ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় প্রভাবশালীদের মৎস্য চাষ প্রতিষ্ঠার পর থেকে নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত ক্ষেতলাল পৌরসভার বাসিন্দা উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ সন্ত্রাসী আটক কুড়িগ্রামের চিলমারীতে আশ্রয়নের ঘর বানিজ্য

দুর্নীতির ২ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন

দুর্নীতির ২ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত ঢাকার পঞ্চম বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। জামিন আবেদন মঞ্জুরের পর খালেদা জিয়ার অসমাপ্ত আত্মপক্ষ সমর্থন চলে। খালেদার পক্ষে শুনানি করেছেন ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। এর আগে গত ৩০ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) বামদের ডাকা অর্ধদিবস হরতালের কারণে আদালতে যেতে পারেননি খালেদা জিয়া। পরে তার আইনজীবীরা দুপুর ২টায় হাজির হওয়ার আবেদন করেন। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ করে দিয়ে বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ৫, ৬ ও ৭ ডিসেম্বর অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। একই সঙ্গে চ্যারিটেবল মামলায় সাফাই সাক্ষীর জন্যও দিন ধার্য করা হয়। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করায় খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থনে অসম্পূর্ণ বক্তব্য সমাপ্ত করার সুযোগ পাননি। এ কারণে নতুন করে সুযোগ পেতে তাকে আদালতে আবেদন করতে হয়েছে। এর আগে টানা ৬ কার্যদিবস আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দেন বিএনপি প্রধান। গতকাল মঙ্গলবার এ মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের শেষ দিন প্রায় তিন ঘণ্টা বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকার সময় ক্ষমতার কোনো অপব্যবহার তিনি করেননি, অন্যায় প্রভাবও কখনও খাটাননি। খালেদা বলেন, তার বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে’। তিনি সম্পূর্ণ ‘নির্দোষ’ এবং বেকসুর খালাস পাওয়ার যোগ্য। এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ৫ অগাস্ট তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দেন। তার পাঁচ বছর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ অভিযোগ গঠন করে খালেদাসহ ছয় আসামির বিচার শুরু করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান, মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। খালেদা জিয়া, সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ এ মামলায় জামিনে আছেন। খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান গত নয় বছর ধরে দেশের বাইরে, তার বিরুদ্ধে এ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এ ছাড়া কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক। অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৩০ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে সপ্তম দিনের মত বক্তব্য দেওয়া কথা ছিল খালেদা জিয়ার। সেইসঙ্গে দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় হাজিরর তারিখ ছিল। কিন্তু তিনি নিজে না গিয়ে হরতালে নিরপত্তার কারণ দেখিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে সময়ের আবেদন পাঠান। ওই আবেদন নাকচ করে দুই মামলাতেই সেদিন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক আখতারুজ্জামান। আর আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি সেখানেই শেষ করে বিচারিক কার্যক্রমের পরবর্তী ধাপে যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য ৫, ৬ ও ৭ ডিসেম্বর দিন ঠিক করে দেন। খালেদার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া সেদিন বলেছিলেন, হরতাল শেষে দুপুরের পর খালেদা জিয়ার আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু আদালত পরোয়ানা জারি করায় তা সম্ভব হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার সকালে আইনজীবীরা খালেদার আত্মসমর্পণ করে জামিন এবং যুক্তিতর্ক স্থগিত করে আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ চেয়ে দুই মামলায় চারটি আবেদন জমা দেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খালেদা জিয়া বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের মাঠে বিশেষ জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে পৌঁছালে সেসব আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে জমিরউদ্দিন সরকার বলেন, হরতালের মধ্যে নিরাপত্তাজনিত কারণে খালেদা জিয়া আগের দিন সময়মত আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। ন্যায়বিচারের স্বার্থে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনে বাকি বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল গতকাল মঙ্গলবারই যুক্তিতর্ক শুরুর আবেদন জানিয়ে বলেন, খালেদা জিয়া জামিনের শর্ত ভঙ্গ করেছেন। সুতরাং আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ তার আর নেই। শুনানি শেষে বিচারক খালেদার জামিন মঞ্জুর করেন এবং যুক্তিতর্ক শুরুর আদেশ প্রত্যাহার করে আত্মপক্ষ সমর্থনের বাকি বক্তব্য উপস্থাপনের অনুমতি দেন। তবে ওই বক্তব্য গতকাল মঙ্গলবারই শেষ করতে বলেন। এর পরপরই জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে সপ্তম দিনের বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তার আইনজীবীরা জানান, জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে আত্মপক্ষ সমর্থনে লিখিত বক্তব্য জমা দিতে বলেছে আদালত। এ মামলাতেও ১৯ ডিসেম্বর তারিখ রাখা হয়েছে। সেদিন খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থনে মৌখিক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ চাওয়া হবে। আর জিয়া দাতব্য ট্রাস্টের নামে আসা তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ অগাস্ট তেজগাঁও থানায় অন্য মামলাটি হয়। তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চার জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরের বছরের ১৯ মার্চ শুরু হয় বিচার।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর