সেনা মোতায়েনের পরও অবস্থার উন্নতি হয়নি: রিজভী
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
সেনা মোতায়েনের পরও সারাদেশে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। দলটির দাবি, গত সোমবার ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ২৮টি নির্বাচনী আসনে হামলার ঘটনা ঘটেছে; ধানের শীষের ১৯ প্রার্থীসহ শতাধিক নেতাকর্মী এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, গতকাল (সোমবার) ছিল সবচেয়ে ভায়োলেন্ট দিন, সবচাইতে সহিংস দিন। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের টেক্কা দিয়ে পুলিশই সন্ত্রাসী আক্রমণে নেতৃত্বে থেকেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ধানের শীষের প্রার্থীদের প্রচার ও সমাবেশে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হামলার ঘটনা ঘটেছে গতকাল। রাতেও অনেক ঘটনা ঘটেছে। ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট সামনে রেখে গত সোমবারই সারা দেশে ভোটের মাঠে নেমেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। ‘সবার জন্য সমান সুযোগ নেই’ অভিযোগ করে আসা বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলে আসছিলেন, সেনা মোতায়েন হলে তাদের ভাষায় ‘লেভেল প্লেইং ফিল্ড’ হবে বলে তারা আশা করছেন। কিন্তু গত সোমবারও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর হামলা, সংঘর্ষ, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের খবর এসেছে। নির্বাচনী এলাকায় প্রচার চালানোর সময় প্রতিপক্ষের হামলার মুখে পড়েছেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী। রিজভী বলেন, সেনা মোতায়েনের পরও অবস্থার উন্নতি হয়নি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন সাহেব বলেছেন- এটা অপ্রত্যাশিত। তার ভাষায়, পুলিশ আগে লাঠিপেটার পাশাপাশি মাঝে মাঝে গুলি করত। এখন ‘লাঠি বাদ দিয়ে শুধু গুলিই’ চালাচ্ছে ধানের শীষের প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের ওপর। ধানের শীষের প্রার্থীদের মধ্যে নোয়াখালীতে মওদুদ আহমদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নরসিংদীতে আবদুল মঈন খান, ভোলায় হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, শরীয়পুরে মিয়া নুরউদ্দিন আহমেদ অপু, কিশোরগঞ্জে আক্তারুজ্জামান, শরীফুল আলম, শেরপুরে সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা ভোটের প্রচারে হামলার শিকার হয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে তথ্য দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব। তিনি বলেন, আমরা সবাই প্রত্যাশা করেছিলাম যে, সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হবে। আমরা এখনো বিশ্বাস করি যে, পরিস্থিতির উন্নতি হবে। সন্ত্রাসীদের ধরার পাশাপাশি দ্রুত নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আমি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। নির্বাচনে দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা ততই ‘বেপরোয়া’ হয়ে উঠেছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট মারতে দলে দলে প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তৈমুর আলম খন্দকার, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, বেলাল আহমেদ, মাশুকুর রহমান, শাহজাহান মিয়া স¤্রাট উপস্থিত ছিলেন।