ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে বাক স্বাধীনতা থাকবে না: আইনমন্ত্রী
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচনী সভায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়াড়িয়া-৪ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী আনিসল হক বলেছেন, যারা বাক স্বাধীনতার কথা বলে তাদের নেতা ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের খামোশ বলে তাদের প্রশ্ন করার অধিকার খর্ব করেছেন। তাদের মুখে এসব মানায় না। এতেই বুঝা যায় ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে জনগণের বাক স্বাধীনতা থাকবে না। ওইদিন দুপুরে আনিসুল হক তার নির্বাচনী এলাকার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের শিকারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বকৃতায় এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ আলম মৃধার সভাপতিত্বে মন্ত্রী আরো বলেন. ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী যাদের মনোনয়নপত্র হাইকোর্ট বাতিল করেছে ওই সকল এলাকায় পুনরায় মির্জা ফখরুল প্রার্থী নির্বাচন করে চিঠি দিয়েছেন। যা কোনক্রমেই আইনগতভাবে সঠিক নয়। এ রকম হলে তাদের জন্য পুনরায় আইন প্রণয়ন করতে হবে। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন, বাদৈর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু জামাল খান প্রমুখ। এর আগে মন্ত্রী খাড়েরা ইউনিয়নের সোনাগাওঁ মাদ্রাসা মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে একটি নির্বাচনী সভায় বক্তৃতা দেন। সেখানে মন্ত্রী বলেন, আমি আমার অধিকার নিয়ে আপনাদের কাছে ভোট চাইতে এসেছি। আমি এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করেছি। ৯৫৫ জনকে সরকারি চাকুরি দিয়েছি। এলাকার রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসার উন্নয়ন করেছি। আমার বিশ্বাস আপনারা আমাকে বিমুখ করবেন না। তখন হাজার হাজার মানুষ হাত নেড়ে মন্ত্রীকে সমর্থন জানান। জনসভায় বক্তব্য রাখেন, খাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির আহাম্মদ খান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মীর হেলাল প্রমুুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুল হক ভূইয়া, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল কাওছার ভূঁইয়া, এম.জি হাক্কানী, কাজী আজহারুল ইসলাম, রুহুল আমিন ভুইয়া, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এম.এ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. মনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন প্রমুখ।