নীলগিরি
ঘুরতে কার না মন চায়। সুযোগ পেলেই আমরা ঘুরে আসি। আমাদের সবুজ-শ্যামল এ দেশটি প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যে এতই সমৃদ্ধ যে এক জীবনে ঘুরে শেষ করা যাবে না। তবু যতটুকু পারা যায় ক্ষতি কী? তাই এবার আমরা পাহাড়ি অঞ্চল বান্দরবানের যতগুলো ভ্রমণের জায়গা আছে তার সন্ধান দিচ্ছি। না গিয়ে থাকলে এবার ঘুরে আসতে পারেন।
কী কী দেখবেন
বান্দরবানে দেখার অনেক কিছুই রয়েছে। নৈসর্গিক দৃশ্যে ভরপুর সেসব স্থান মুহূর্তেই মন কেড়ে নেয় পর্যটকদের। রয়েছে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও। তাই জেনে নিন- কী দেখবেন, কোথায় থাকবেন এবং কী খাবেন।
বান্দরবান জেলা সদর থেকে ৪৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে লামা উপজেলার অংশে সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ২২০০ ফুট উপরে নীলগিরির অবস্থান। যাকে বাংলাদেশের দার্জিলিং হিসাবে অবহিত করা যায়। যেখানে পাহাড় আর মেঘের মিতালি চলে দিনরাত। তবে যারা মেঘ ভালোবাসেন তারা জুন-জুলাইতে অর্থাৎ বর্ষাকালে ভ্রমণে গেলে বেশি মজা পাবেন।
স্বর্ণমন্দির
বর্তমানে স্বর্ণমন্দির উপাসনালয়টি বান্দরবান জেলার একটি অন্যতম পর্যটন স্পট হিসাবে পরিগণিত হচ্ছে। বান্দরবান শহর থেকে ৪ কিলোমিটার উত্তরে বালাঘাট এলাকায় পাহাড়ের চূঁড়ায় অবস্থিত। বান্দরবান ভ্রমণে আপনি এই জাদী বা স্বর্ণমন্দিরটি একবার স্বচক্ষে দেখে আসতে পারেন।
মেঘলা
বান্দরবান জেলা শহরে প্রবেশের ৭ কিলোমিটার আগে মেঘলা পর্যটন এলাকাটি অবস্থিত। এটি উঁচু-নিচু পাহাড় বেষ্টিত একটি লেককে ঘিরে গড়ে উঠেছে। লেকের পানিতে রয়েছে হাঁসের প্যাডেল বোট, ডাঙ্গায় রয়েছে মিনি চিড়িয়াখানা। আর আকাশে ঝুলে আছে রোপওয়ে কার। মেঘলা পর্যটন স্পটের পাশেই রয়েছে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের বান্দরবান পর্যটন হোটেলটি।
শৈলপ্রপাত
শৈলপ্রপাত বান্দরবান শহর থেকে ৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে চিম্বুক বা নীলগিরি যাওয়ার পথে দেখা যাবে।
নীলাচল
নীলাচল বান্দরবান শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে ১৭০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত একটি পর্বতশীর্ষ। যেখান থেকে নীল আকাশ যেন তার নীল আঁচল বিছিয়ে দিয়েছে ভূমির সবুজ জমিনে।
মিলনছড়ি
মিলনছড়ি বান্দরবান শহর থেকে ৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে শৈলপ্রপাত বা চিম্বুক যাওয়ার পথে পড়ে। এখানে একটি পুলিশ ফাঁড়ি আছে। এর পাশ দিয়ে বয়ে যায় সাঙ্গু নামক মোহনীয় নদীটি।
চিম্বুক
চিম্বুক বান্দরবানের অনেক পুরনো পর্যটন স্পট। বান্দরবান শহর থেকে ২১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে মিলনছড়ি এবং শৈলপ্রপাত ফেলে চিম্বুক যেতে হয়। এখানে পাহাড়ের চূঁড়ায় রেস্টুরেন্ট এবং একটি ওয়াচ টাওয়ার আছে।
সাঙ্গু নদী
পূর্বের অতিউচ্চ পর্বতশীর্ষ থেকে সাঙ্গু নদী নেমে এসে বান্দরবান শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশে গেছে। বান্দরবান শহরের পূর্বপাশে পাহাড়ি ঢালে বয়ে চলা সাঙ্গু নদী দেখতে দারুণ লাগে।
কীভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে বান্দরবান যেতে ২-৩ টি রুট ব্যবহার করতে পারেন। ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বাসে প্রথমে চট্টগ্রাম তারপর চট্টগ্রাম থেকে সোজা বান্দরবান।