December 22, 2024, 8:19 pm

সংবাদ শিরোনাম
পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়, পুলিশ ও জনগণ একে অন্যের পরিপূরক-রেজাউল করিম মল্লিক দলের পরিবর্তন হয়েছে চরিত্রের পরিবর্তন হয়নি শায়খে চরমোনাই মুফতি ফয়জুল করীম আপনারা শান্তিতে থাকুন আমরা চাই,আমাদেরকেও আপনারা শান্তিতে থাকতে দিন- ডা. শফিকুর রহমান যশোরে গাছের সাথে বাসের ধাক্কায় নিহত ১ পার্বতীপুরে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা ২০২৪ অনুষ্ঠিত বাংলাভিশন ডিজিটালের নির্বাহী সম্পাদকের বিরুদ্ধে নাবিলের অপপ্রচারের প্রতিবাদ হিলিতে বিজিবি দিবসে বিএসএফকে মিষ্টি উপহার বিজিবির কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে আওয়ামী লীগের নেতা গ্রেপ্তার পটুয়াখালীতে বাড়ির সীমানা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত-৬ গভীর রাতে আশ্রায়ন প্রকল্পের শীতার্তদের পাশে হাকিমপুরের ইউএনও অমিত রায়

স্বস্তি ফিরছে বাজারে!

স্বস্তি ফিরছে বাজারে!


হেমন্তের হালকা শীতের পরশ বাজারেও স্বস্তি ফেরাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শীতের সবজি আগাম বাজারে আসতে শুরু করেছে।
দাম এখন পর্যন্ত চড়া হলেও সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে। আমন ধান উঠতে শুরু করলে বাজারে তার প্রভাব পড়বে। আমন ধানের বেশির ভাগই কৃষক নিজের সারা বছরের খাওয়ার জন্য মজুদ করলেও বাজারে চাহিদা কমবে। ফলে চালের বাজারে দাম কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাজার ভোক্তাদের ভোগাচ্ছে দীর্ঘদিন থেকেই। চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে নানা পণ্যের দাম ওঠানামা করেছে। মূল্য গুনতে হয়েছে ভোক্তাদের। বাজারে পণ্যমূল্য কোনোভাবেই স্থিতিশীল রাখা যায়নি। চালের দাম বেড়ে যাওয়ার পর থেকে ওএমএস চালু করা হলেও তা এবার সেভাবে জনপ্রিয়তা পায়নি।
বাজার নিয়ে বছরজুড়েই ক্রেতাদের মনে অস্বস্তি ছিল। হেমন্তের মাঝামাঝি সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আগাম সবজি উঠতে শুরু করে। নদী-খাল-বিলের পানি কমতে শুরু করেছে। সেখানে মাছ ধরা শুরু হলে রকমারি মাছ আসবে বাজারে। সব মিলিয়ে বাজারে স্বস্তি ফেরার অপেক্ষা এখন। বাংলাদেশের বাজারে ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য থাকে অল্প খরচে অধিক লাভ। এই লক্ষ্য পূরণে ব্যবসায়ীরা একাট্টা। সরকারের ব্যবসাবান্ধব নীতির সুযোগ নিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের জীবন দুর্বিষহ করে তোলা হচ্ছে। গত এক বছরে বাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধির হার দেখলেই এটা স্পষ্ট হবে; যদিও চাহিদা ও সরবরাহে তেমন কোনো ফারাক ছিল না। বলতে গেলে সরবরাহ কখনো বিঘিœত হয়নি। অন্যদিকে ক্রেতারা যেমন সংগঠিত নয়, তেমনি বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও মনে হয় না। বাজার নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো বিভাগ নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উৎপাদন, সরবরাহ, পরিস্থিতি ও মূল্যÑএসব পর্যবেক্ষণে রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কোনো উদ্যোগও সরকারের আছে বলে মনে হয় না। সরকারের নিজস্ব একটি সংস্থা আছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ বা সংক্ষেপে টিসিবি নামের সংস্থাটি প্রয়োজনের সময়ে ভোক্তাদের জন্য আজ পর্যন্ত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে বলে মনে হয় না। কখনো কখনো ওএমএস কর্মসূচি হাতে নিলেও এবার তা ব্যর্থ হয়েছে। চাল-ডাল-তেলের বাইরে অন্য কোনো পণ্য নিয়েও সংস্থাটির মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না। এর বাইরে আছে বাজারের মধ্যস্বত্বভোগী। কিছুকিছু পণ্যের ক্ষেত্রে মূলত বাজারদর ওঠানামার বিষয়টি নির্ভর করে পাইকারি ও খুচরা বাজারের মধ্যের এই গোষ্ঠীর হাতে।
তবু শীতের আমেজ স্বস্তি ফেরাচ্ছে বলেই ধারণা বাজার বিশেষজ্ঞদের। তবে সরকারের হাতেও কিছু ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। বাজার নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা না থাকলে ভোক্তাদের স্বস্তি মিলবে না। সরকার কি সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে?

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর