দৃষ্টিশক্তি রক্ষায় পালংশাক ও বিট
ডিটেকটিভ লাইফস্টাইল ডেস্ক
কার্টুন চরিত্র ‘পপাই- দ্য সেইলর ম্যান’য়ের মতো পালংশাক খেয়ে রক্ষা করুন দৃষ্টিশক্তি।
কারণ এক গবেষণা বলছে, ‘নাইট্রেইট’ সমৃদ্ধ সবজি যেমন- পালংশাক ও বিট ‘ম্যাকুলার ডিজেনারেইশন’ রোধ করতে উপকারী। আর এই ‘ম্যাকুলার ডিজেনারেইশন’ই দৃষ্টিশক্তি লোপ পাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ, যা পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তিদেরই আক্রমণ করে বেশি।
‘জার্নাল অফ দ্য অ্যাকাডেমি অফ নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়াবেটিকস’য়ে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়।
গবেষণায় জানা গেছে, যারা প্রতিদিন ৬৯ গ্রাম সবজিভিত্তিক ‘নাইট্রেইট’ গ্রহণ করেন তাদের তুলনায় যারা প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৪২ গ্রাম সবজিভিত্তিক ‘নাইট্রেইট’ গ্রহণ করেন তাদের ‘এইজ-রিলেটেড ম্যাকুলার ডিজেনারেইশন (এএমডি)’ বা বার্ধক্যজনীত দৃষ্টিশক্তি লোপ পাওয়ার আশঙ্কা কমে ৩৫ শতাংশ।
প্রতি ১০০ গ্রাম পালংশাকে ২০ গ্রাম ‘নাইট্রেইট’ থাকে। আর প্রতি ১০০ গ্রাম বিটে প্রায় ১৫ গ্রাম ‘নাইট্রেইট’ থাকে।
গবেষণার প্রধান গবেষক, অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টমিড ইনস্টিটিটিউট ফর মেডিকল রিসার্চ’য়ের বামিনি গোপিনাথ বলেন, “এই প্রথমবারের মতো ‘ম্যাকুলার ডিজেনারেইশন’য়ের ঝুঁকির উপর ভোজ্য ‘নাইট্রেইট’য়ের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে।”
এই গবেষণায় জন্য ৪৯ বছরের বেশি বয়সের দুই হাজারেরও বেশি সংখ্যক মানুষকে পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকরা। পর্যবেক্ষণের সময়সীমা ছিলো ১৫ বছরেরও বেশি।
গোপিনাথ বলেন, “আমাদের গবেষণার ফলাফল সম্পর্কে শতভাগ নিশ্চিত হওয়া গেলে খাদ্যাভ্যাসে ভোজ্য ‘নাইট্রেইট’ যুক্ত খাবার যেমন- পালংশাক ও বিট যোগ করা ‘ম্যাকুলার ডিজেনারেইশন’ রোধ করার একটি সহজ পন্থা হিসেবে বিবেচনা করা সম্ভব হবে।
আবার প্রতিদিন ১৪২ গ্রামের অধিক ভোজ্য ‘নাইট্রেইট’ গ্রহণের কোনো বাড়তি উপকারিতা লক্ষ্য করা যায়নি এই গবেষণায়।
‘এএমডি’র ক্ষেত্রে বয়স একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক। আর এই রোগ ৫০ বছর বয়সের পর হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এই রোগের কোনো চিকিৎসা নেই।
বিজ্ঞানীদের মতে, খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ‘নাইট্রেইট’ সমৃদ্ধ শাকসবজি যোগ করার মাধ্যমে এই সমস্যা প্রতিরোধ করা সহজ হবে।
এই গবেষণা সম্পূর্ণ পর্যবেক্ষণ ভিত্তিক এবং কোনো নির্দিষ্ট খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে এই রোগের ঝুঁকি সম্পর্কিত কোনো প্রতিষ্ঠিত সম্পর্ক নেই।