সরকার ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ ও উৎসাহ দিচ্ছে : নৌপরিবহন মন্ত্রী
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, বর্তমান সরকার নারী-পুরুষ নির্বিশেষে শ্রমিকদের অধিকার ও কর্মক্ষেত্রে সুষ্ঠু পরিবেশে নিশ্চিত করতে ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ ও উৎসাহ দিচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের পোশাক শিল্প খাতে ৫শ’ এর অধিক ট্রেড ইউনিয়ন রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ঢাকায় ব্রাক সেন্টারে ‘ট্রেড ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়নে নারী-পুরুষ সমতার উপায় চিহ্নিতকরণ’ শীর্ষক একটি গবেষণা প্রতিবেদনের ওপর মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন ‘কর্মজীবী নারী’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে গার্মেন্টস, ট্যানারি ও নির্মাণ নারী শ্রমিকের ৩০ জন প্রতিনিধি অংশ নেয়। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের শ্রমশক্তিতে নারীশ্রমিকেরা একটি নতুন মাত্রা সূচিত করেছে। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ অর্জনে ট্রেড ইউনিয়নে নারীর সমান প্রতিনিধিত্ব ও অংশগ্রহণ বিশেষ গুরুত্ববহ। এক্ষেত্রে নারীদেরকে এগিয়ে আসতে হবে, তাদেরকে সংগঠিত হতে হবে। কর্মজীবী নারীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও নারীশ্রমিক কন্ঠে’র আহ্বায়ক শিরীন আখতার এম পি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন এ- জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানিয়া হক গবেষনাপত্র উপস্থাপন করেন। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ দেশে নারীর ক্ষমতায়নে সুযোগ করে দিয়েছেন। সংসদ-সদস্যসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নারী প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। চাকরিক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে এসেছে। জাহাজে নারী নাবিকরা কাজ করছে। শাজাহান খান বলেন, নারী শ্রমিকের সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হলে প্রয়োজন শ্রমিক সংগঠন বা ট্রড ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণসহ সকল স্তরে নারীর অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কর্মজীবী নারীর সভাপতি ড. প্রতিমা পাল মজুমদার, নারী শ্রমিক কন্ঠের সদস্য হামিদা খাতুন, কর্মজীবী নারী’র নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া রফিক, নারী নেত্রী রওনক জাহান, হেনা চৌধুরী, লীমা ফেরদৌস, শাহীন আক্তার পারভিন, গার্মেন্টস শ্রমিক নেতা আমিরুল হক আমিন এবং সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মেদ।