ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু ও অজানা জ¦রে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে নির্ভরযোগ্য তথ্য না দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, রাজ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৩ জন মারা গেছেন। গত সপ্তাহে রাজ্যের মুখ্যসচিব বলেন, ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঘটনা ৩৮টি। রাজ্যের বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, প্রশাসনিক ব্যর্থতার কারণেই সরকার ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা গোপন করছে। বাম, বিজেপি ও কংগ্রেস রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছে। রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী ডেঙ্গু ও অন্যান্য সংক্রামক রোগের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন। গত শুক্রবার দুর্গাপুরে কেশরীনাথ ত্রিপাঠী বলেন, রাজ্য সরকারকে যা বলার বলেছি। আশা করি, ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও কার্যকরী চিকিৎসার জন্য সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে। কলকাতা হাইকোর্টে ডেঙ্গু পরিস্থিতির প্রকৃত তথ্য জানানোর দাবিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পাঁচটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। গত সোমবার প্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও হাবড়ার বাসিন্দাদের হয়ে হাইকোর্টে মামলা করবেন বলে জানিযেছেন। গত শুক্রবার ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলায় এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করেছেন কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য সরকার ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেছে। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ জাকিম বলেছেন, রাজ্যপাল মনে হয় বিরোধীদের চোখ দিয়ে দেখছেন। তাই তিনি এত বিচলিত। ডেঙ্গু নিয়ে রাজ্য সরকার সচেতন। তাই অন্য রাজ্যের তুলনায় আমাদের রাজ্যে রোগের প্রকোপ ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কম। গত ৪৮ ঘণ্টায় রাজ্যে প্রায় ১২ জন ডেঙ্গু ও অজানা জ¦রে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে বেসরকারি সূত্রে জানা গেছে।