January 16, 2025, 2:47 am

সংবাদ শিরোনাম
মধুপুরে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেনাপোলে বিজিপি বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হারিয়ে যাওয়া মায়ের খোঁজে দিশেহারা সন্তানরা ভিসা জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে পরিবহন ব্যাবসার ধ্বস তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি প্রজেক্টরে ভেসে উঠায় স্থানীয় জনতার প্রতিবাদ ঢাকায় দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করলেন সন্ত্রাসীরা: বেনাপোলে ভারতীয় ভয়ঙ্কর ট্যাপেন্টাডোল জব্দ মধুপুর উপজেলা মেম্বার ফোরামের উদ্যোগে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ লামায়-আলীকদম অনুপ্রবেশকালে ৫৮ মিয়ানমার নাগরিকসহ ৫ দালাল আটক

মামার অভিনব প্রতারনায় ভাগ্নে কুপোকাত : মামা নামের কলঙ্ক

মামার অভিনব প্রতারনায় ভাগ্নে কুপোকাত : মামা নামের কলঙ্ক

মামার শতকোটি টাকার আয়ের উৎস খুজতে দুদককে অনুরোধ ভাগিনার

ডিটেকটিভ ভূঁইয়া


জানা যায় কামরুল হাসান মাসুদ আশির দশকে গাইবান্দা থেকে ঢাকার কমলাপুরে আস্তানা গড়েন এবং শুরু হয় কিউ.এইচ মাসুদ এন্ড কোঃ লিঃ নামে বিভিন্ন দপ্তরে ঠিকাদারি কাজ পরিচালনা। সেই সুবাদে কাউকে কোম্পানীর পার্টনার, সাব-কন্ট্রাক্টর এবং বিনিয়োগকারীদের অধিক লাভের প্রলোভন দেখিয়ে মক্কেল বানানোর কৌশল। তার মানসিকতার অধঃপতন ঘটেছে যে নিজ ভাগ্নেকেও প্রতারনার ফাঁদে ফেলতে পিছপা হয়নি তিনি। তার ভাগ্নে এস.এম শরিফ মামার উপর অগাধ বিশ্বাস থাকায় মামার প্রস্তাবে উল্লেখিত কোম্পানীর পরিচালক হিসাবে ১ লা মার্চ ২০০৫ সালে তার কোম্পানীতে যোগদান করেন। তিনি পেশায় এক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পাশাপাশি আয়কর আইনজীবী হিসাবে দীর্ঘ প্রায় ২০ বৎসর যাবৎ কর্ম চালিয়ে আসছিলেন। তথাপি তার মামার পাতানো ফাঁদ সরল বিশ্বাসের কারনে বুঝতে পারেনি। ঘটনার বিবরনে জানা যায় ২০১৪ সালে কৌশলে তিনি কোম্পানীর পরিচালক পদ থেকে অপসারন করেন ভাগিনাকে। অপসারনের পূর্বে ২০১০-১২ সালে মোট তিনটি চেক কোম্পানীর কাজের জরুরী প্রয়োজনে ও পার্টিকে দেখানোর কথা বলে এবং খুব শিঘ্রই চেক তিনটি ফেরৎ দেওয়া হবে বলে ভাগ্নেকে আশ্বস্ত করে মামা। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও এবং ভাগিনাকে চেক ফেরৎ চাওয়ার পরও চেক ফেরৎ না দিয়ে কৌশলে পরিচালক পদ থেকে সরিয়ে এবং কোম্পানীতে
বিনিয়োগ কৃত প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা যাহা সিকিউরিটি ডিপোজিট হিসাবে ক্রীড়া পরিষদে জমা থাকা যাহা বিলের বিপরীতে জামানত হিসাবে কর্তন করা হয়েছিল।  সেই অর্থ ভাগিনাকে ফেরত দেয়া হয়নি। অন্যদিকে গোপনে চেক তিনটির মধ্যে দুইটির হিসাব বন্ধ থাকা সত্ত্বেও এন.আই.এ্যাক্টে তিনটি মামলা দায়ের করে। মামলাগুলি যথাক্রমে (১) অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত ৬ষ্ঠ ঢাকা মামলা নং-১৩.৯০৫/১৫ টাকার পরিমান ৩০,০০,০০০/= (ত্রিশ লক্ষ) টাকা (২) অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত ৭ম, ঢাকা, মামলা নং-১৩.৯০৪/১৫ (৩) বিশেষ দায়রাআদালত ও দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল-৩ ঢাকা মামলা নং-৬৮২/২০১৬ টাকার পরিমান ৩,৫০,০০,০০০/= (তিন কোটি পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা মামলা তিনটি পৃথক আদালতে দায়ের করা হয় যদিও মামলার বিবাদী একই ব্যক্তি।
উল্লেখিত তিনটি মামলা সম্পূর্ন অসৎ উদ্দেশ্যে করা হয়েছে কারন বলে ভাগিনা শরিফ জানান এই টাকা কবে এবং কিভাবে প্রদান করেছে তার উল্লেখ নাই বলেও জানান তিনি।
প্রথমে ৩০ লক্ষ টাকা ধার দেওয়ার পর পরিশোধ না করার পরও কি ভাবে ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা পুনরায় ধার দেওয়া হয় এবং ৩০ লক্ষ টাকা ও ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা পরিশোধ না করার পরও কি ভাবে ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ধার দেওয়া হয় যাহা অবাস্তব বলেন শরীফ সাহেব।
শরিফ এন্ড এসোসিয়েটস ফার্মের কথা উল্লেখ করা হয়েছে প্রকৃতপক্ষে এই ফার্মের নামে কোন ব্যবসা করা হয় তাও কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর প্রতিনিধি বলতে পারেন নাই (আদালতে) প্রকৃতপক্ষে শরিফ এন্ড এসোসিয়েটস একটি কন্সালটেন্ট ফার্ম এখানে শুধু অফিসের বিনিয়োগ ছাড়া অন্য কোন বিনিয়োগের প্রয়োজন পরে না।
নিজের মামার নিকট সরল বিশ্বাসে রাখা চেক ব্যবহারকরে নিজের ভাগ্নেকে সহায় সম্বলহীন করার অভিনব প্রতারনা (আইনের মারপ্যাচে) চেক আইনের দূর্বলতার কারনে করা হচ্ছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তিকে একই কায়দায় প্রতারনা করছেন অনেকের। এক অজানা ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
কিউ এইচ মাসুদ এন্ড কোং এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কিসের ব্যবসা করে? অভিনব প্রতারনার মাধ্যমে মানুষকে ঠকানো এবং তাকে সর্বশান্ত করা নাকি আরও কোন অবৈধ ব্যবসা যার মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার সম্পদ নিজ ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে করা হয়েছে। দেশের বাহিরে ঘনঘন যাতায়াত প্রকৃতপক্ষে চেকের মাধ্যমে সুদের ব্যবসা ছাড়াও আরও কোন অবৈধ ব্যবসার যোগসূত্রের ইঙ্গিত করে বলে ভুক্তভুগীরা জানিয়েছেন।
একই প্রক্রিয়ার তথ্য ও সূত্র মতে এ যাবৎ ৩০ টির অধিক বিভিন্ন সু-কৌশলে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অনেক কে মামলায় ফাঁসিয়েছেন। কোন কোন ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তিকে দিয়ে একাউন্ট খুলিয়ে চেক নিয়ে মামলা করে, উদাহরন এস.বি.এম আসলাম সুমন যার একাউন্ট খোলার পর কোন লেন-দেন করা হয় নাই অথচ তার বিরুদ্ধে দুইটিচেকে ৬৫,০০,০০০/- টাকা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে এস.বি.এম আসলাম সুমন কখনই এতবড় লেন-দেন করে নাই। সে এক সময় কিউ.এইচ মাসুদ এন্ড কোং লিঃ এর লেবার সাব-কন্ট্রাক্টর ছিল। বিষয়গুলি দুদক ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে খতিয়ে দেখার দরকার বলে অভিজ্ঞ মহল ও ভুক্তভুগিরা মনে করে। (বিস্তারিত পরবর্তী সংখ্যায়)

 

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর