১.৪০ কোটির ফেইসবুক পোস্ট উন্মুক্ত
ডিটেকটিভ প্রযুক্তি ডেস্ক
ডেটা প্রাইভেসি কেলেঙ্কারি যেন শনির দশার মতো ঘাড়ে চেপেছে ফেইসবুকের। চলতি বছর মে মাসে একটি ‘বাগ’-এর কারণে এই প্লাটফর্মের ১.৪০ কোটি ব্যবহারকারীর ডেটায় প্রাইভেসি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে বলে স্বীকার করেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যমটি।
এই বাগ কোনো ব্যবহারকারীর ‘অনলি ফর ফ্রেন্ডস’ মোডে দেওয়া পোস্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘পাবলিক’ করে দিয়েছে। ‘অনলি ফর ফ্রেন্ডস’ মোডে পোস্ট করা হলে সেই পোস্ট শুধু ব্যবহারকারীদের বন্ধুরাই দেখতে পাওয়ার কথা। কিন্তু বাগের কারণে তা পাবলিক হয়ে যাওয়ার মানে হচ্ছে ওই পোস্ট যে কেউ দেখতে পাবেন, এমনকি ফেইসবুকে নেই এমন কেউও এটি দেখতে পাবেন। তবে, কোন দেশের ব্যবহারকারীরা এই বাগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন তা এখনও জানা যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে।
ফেইসবুকের প্রধান প্রাইভেসি কর্মকর্তা এরিন এগান-এর মতে, ফেইসবুক ডেভেলপাররা ব্যবহারকারীদের প্রোফাইলে ছবি বা এমন অন্য কোনো পোস্ট শেয়ারের একটি নতুন উপায় বানাচ্ছিলেন। ওই সময়ই এই বাগের সৃষ্টি হয়।
বৃহস্পতিবার এক ব্লগপোস্টে এগান বলেন, “এই সমস্যার সমাধান করা হয়েছে, আর আক্রান্ত যে কারও জন্য আমরা পোস্টগুলোকে আগের মোডে নিয়ে এসেছি, যা ব্যবহারকারীরা আগে ব্যবহার করছিলেন।”
এগান আরও বলেন, “আমরা আক্রান্ত ১৪ মিলিয়ন মানুষকে এ বিষয়ে জানানো শুরু করেছি– আর তাদেরকে ওই সময়ে করা যে কোনো পোস্ট যাচাই করতে বলছি। স্পষ্টভাবে, এই বাগ মানুষের আগে করা কোনো পোস্ট আক্রান্ত করেনি আর তারা এখনও তাদের দর্শক বাছাই করতে পারবেন, যেমনটা তারা সব সময় করতে পারেন।”
এই সমস্যা সমাধানে ফেইসবুক ডেভেলপারদের পাঁচদিন সময় লেগেছে।
এগান বলেন, “আপনি যদি ১৮মে থেকে ২৭মে-এর মধ্যে পাবলিক মোডে কোনো পোস্ট করে থাকেন, তাহলে লগ ইন করার পর আপনি ফেইসবুকে একটি নোটিফিকেশন দেখতে পাবেন যা আপনাকে আরও তথ্যসহ একটি পেইজে নিয়ে যাবে।”
কেমব্রিজ অ্যানালাটিকা ডেটা কেলেঙ্কারির চাপ পুরোপুরি সামলে ওঠার আগেই ফেইসবুক মার্কিন ডিভাইস নির্মাতা বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে অনুমতি ছাড়াই ব্যবহারকারীদের ডেটা শেয়ার করে বলে অভিযোগ তোলে মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস। এই অভিযোগগুলো প্রত্যাখ্যান করে ফেইসবুক। এর পরপরই ফেইসবুক হুয়াওয়ে, অপ্পো আর লেনোভো’র মতো চীনা ডিভাইস নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গেও ডেটা শেয়ার করছে বলে খবর বেরোয়। এ নিতে ইতোমধ্যেই ডেটা প্রাইভেসি বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের সমালোচনার মুখে রয়েছে সোশাল জায়ান্টটি।